পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৪১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

CԵյՆ- রবীন্দ্র-রচনাবলী না কোথায় এই স্থষ্টির আরম্ভ। কেননা, ক্ষুদ্র স্থষ্টিকৰ্ত্ত মানবেরাও জানে না তাহাদের নিজের ভাবের আরম্ভ কোথায়, আদি কারণ কি । এইরূপে সংসারের কোলাহলের মধ্যে, কাজকর্শ্বের মধ্যে, কত শত ভাব আমরা অদৃশু অলক্ষিত ভাবে নিঃশৰে বহন করিয়া পোষণ করিয়৷ বেড়াইতেছি, আমরা তাহার অস্তিত্বও জানি না । হয়ত এই মুহূর্তেই আমার হৃদয়ে এমন একটি ভাবের বীজ নিক্ষিপ্ত হইল যাহা অঙ্কুরিত বঙ্কিত পরিপুষ্ট হইয়া নীতীরন্থ দৃঢ়বদ্ধমূল বৃক্ষের স্তায় নিজের অবস্থানভূমিকে প্রখর কালস্রোতের হস্ত হইতে বহু সহস্ৰ বৎসর রক্ষা করিবে, যাহা তাহার ঘনপল্লব শাখার অমরচ্ছায়ায় অামার নামকে বহু সহস্ৰ বৎসর জীবিত করিয়া রাখিবে, অথচ আমি তাহার জন্মদিন লিখিয়া রাখিলাম না, তাহার জন্মমুহূৰ্ত্ত জানিতেও পারিলাম না, তাহার জন্মকালে শম্বও বাজিল না, হুলুধ্বনিও উঠিল না। আমরা যখন আহার করি তখন আমরা জানিতে পারি না, আমাদের সেই খাদ্যগুলি জীর্ণ হইয়া রক্তরূপে কত শত শিরা উপশিরায় প্রধাবিত হইতেছে। তেমনি একজন ভাবুক যখন তাহার শত শত ভাব মস্তকে বহন করিয়া বিহঙ্গকৃজিত ফুল্লপুষ্প খামী বনের মধ্যে স্থৰ্য্যালোকে বিচরণ করিতেছেন ও স্বভাবের শোভা উপভোগ করিতেছেন, তখন তাহার ভাবরাজ্যের প্রকৃতিমাতা সেই সূৰ্য্যালোক সেই বনের শোভাকে রক্তরূপে পরিণত করিয়া অলক্ষিতভাবে তাহার শত সহস্র ভাবের শিরা উপশিরার মধ্যে প্রবাহিত করাইয় তাহাদিগকে পুষ্ট করিয়া তুলিতেছেন, তাহা তিনি জানিতেও পারেন না । যখন আমি একজন প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তিকে দেখি তখন আমি ভাবি যে, হয়ত ইনি এই মুহূৰ্ত্তে ভবিষ্যৎ শতাব্দীকে মস্তকে পোষণ করিয়া বেড়াইতেছেন অথচ তিনি নিজেও তাহা জানেন না। জগৎ-পীড়া জগৎ একটি প্রকাও পীড়। অস্বাস্থ্যকে পরাভূত করিবার জন্ত স্বাস্থ্যের প্রাণপণ চেষ্টাকে বলে পীড়া । জগৎও তাহাই। জগৎও অস্বাস্থ্যকে অতিক্রম করিয়া উঠিবার জন্য স্বাস্থ্যের উত্তম । অভাবকে দূর করিবার জন্ত পূর্ণতাকাঙ্ক্ষার উদ্যোগ। স্বখ পাইবার জন্য অস্থখের বোঝাযুৰি। জীবন পাইবার জন্য মৃত্যুর প্রবন্ধু। sifsŲferty (Evolution Theory ) wta fF HTM ? qoftwsz fișè są z to