পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য পাহিত্যের তাৎপর্য বাহিরের জগৎ আমাদের মনের মধ্যে প্রবেশ করিয়া আর-একটা জগৎ হইয়া উঠিতেছে। তাহাতে যে কেবল বাহিরের জগতের রং, আকৃতি, ধ্বনি প্রভৃতি আছে, তাহা নহে—তাহার সঙ্গে আমাদের ভালো-লাগা মন্দ-লাগা, আমাদের ভয়-বিস্ময়, আমাদের স্থখ-দুঃথ জড়িত—তাহা আমাদের হৃদয়বৃত্তির বিচিত্র রসে নানাভাবে আভাসিত হইয়া উঠিতেছে । এই হৃদয়বৃত্তির রসে জারিয়া-তুলিয়া আমরা বাহিরের জগৎকে বিশেষরূপে আপনার করিয়া লই । যেমন জঠরে জারকরস অনেকের পর্যাপ্তপরিমাণে না থাকাতে বাহিরের খাদ্যকে তাহারা ভালো করিয়া আপনার শরীরের জিনিস করিয়া লইতে পারে ন!—তেমনি হৃদয়বৃত্তির জারকরস যাহার। পর্যাপ্তরূপে জগতে প্রয়োগ করিতে পারে না, তাহারা বাহিরের জগৎটাকে অস্তরের জগৎ, আপনার জগৎ, মানুষের জগৎ করিয়া লইতে পারে না । এক-একটি জড়প্রকৃতি লোক আছে, জগতের খুব অল্প বিষয়েই যাহাদের হৃদয়ের ঔৎসুক্য—তাহার। জগতে জন্মগ্রহণ করিয়াও অধিকাংশ জগৎ হইতে বঞ্চিত । তাহাদের হৃদয়ের গবাক্ষগুলি সংখ্যায় অল্প এবং বিস্তৃতিতে সংকীর্ণ বলিয়া বিশ্বের মাঝখানে তাহার। প্রবাসী হইয়া আছে । এমন সৌভাগ্যবান লোকও আছেন, ধাহাদের বিস্ময়, প্রেম এবং কল্পনা সর্বত্র সজাগ—প্রকৃতির কক্ষে কক্ষে তাহাদের নিমন্ত্রণ ; লোকালয়ের নানা আন্দোলন তাহাদের চিত্তবীণাকে নানা রাগিণীতে স্পনিত করিয়া রাখে । বাহিরের বিশ্ব ইহাদের মনের মধ্যে হৃদয়বৃত্তির নানা রসে, নানা রঙে, নানা ছাচে নানারকম করিয়া তৈরি হইয়া উঠিতেছে। ভাবুকের মনের এই জগৎটি বাহিরের জগতের চেয়ে মানুষের বেশি আপনার । डांश रुनरब्रव्र नांश८षा यांछ्रवव्र रुनरग्नब्र •ाटच ८वणि पूर्शभ श्झेब्रां ॐcठं । ङांश আমাদের চিত্তের প্রভাবে যে বিশেষত্ব লাভ করে, তাহাই মানুষের পক্ষে উপাদেয়। ;