পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 о 8 ब्रदोटअ-ब्रध्नांवलौ করিয়াছিলাম। এইরূপে স্বচেষ্টায় দেশের হিতসাধনের উদ্দেঙ্গে স্বদেশের আবেদন ছাত্রশালার দ্বারে উপস্থিত করিবার জন্য সাহিত্য-পরিষদের ন্যায় প্রবীণ মণ্ডলীকে অনুরোধ করিতে আমি সাহস করিয়াছিলাম। তখনো স্বদেশী আন্দোলনের স্বত্রপাত श्झ नांहे । সেদিনকার অভিভাষণের • উপসংহারে বলিয়াছিলাম, “জননী, সময় নিকটবর্তী হইয়াছে, ইস্কুলের ছুটি হইয়াছে, সভা ভাঙিয়াছে, এইবার তোমার কুটিরপ্রাঙ্গণের অভিমুখে তোমার ক্ষুধিত সন্তানের পদধ্বনি ওই শোনা যাইতেছে, এখন বাজাও তোমার শঙ্খ, জালো তোমার প্রদীপ— তোমার প্রসারিত শীতলপাটির উপরে আমাদের ছোটোবড়ো সকল ভাইয়ের মিলনকে তোমার আশ্রীগদগদ আশীর্বচনের দ্বারা সার্থক করিবার জন্য প্রস্তুত হইয়া থাকে।” তখন আমাদের সময় যে কত নিকটবর্তী হইয়াছিল, তাহ আমাদের ভাগ্যবিধাতাই নিশ্চিতরূপে জানিতেছিলেন । কিন্তু এখনো আমাদের গর্ব করিবার দিন আসে নাই, চেষ্টা করিবার দিন দেখা দিয়াছে মাত্র । যে-সকল কাজ প্রতিদিন করিবার, এবং প্রতিমুহুর্তে বাহির হইতে যাহার পুরস্কার পাইবার নহে, যাহার প্রধান বাধা বাহিরের প্রতিকূলতা নহে, আমাদেরই জড়ত্ব, দেশের প্রতি আমাদেরই আস্তরিক ঔদাসীন্য— সেই সকল কাজেই আশাপথে নূতনপ্রবৃত্ত তরুণ জীবনগুলিকে উৎসর্গ করিতে হইবে । সেইজন্ত বিশেষ করিয়া আজ ছাত্রদের দিকে চাহিতেছি । এ-সভায় ছাত্রসম্প্রদায়ের যাহারা উপস্থিত আছেন, আমি তাহাদিগকে বলিতে পারি, প্রৌঢ়বয়সের শিখরদেশে আরোহণ করিয়াও আমি ছাত্রগণকে স্বদুর প্রবীণত্বের চক্ষে একদিনও ছোটো করিয়া দেখি নাই । বয়স্কমণ্ডলীর মধ্যে যখন দেখিতে পাই, তাহারা পুথিগত বিদ্যা লইয়াই আছেন ; প্রত্যক্ষ ব্যাপারের সজীব শিক্ষাকে তাহারা আমল দেন না ; যখন দেখি চিরাভ্যস্ত একই চক্রপথে শতসহস্রবার পরিভ্রান্ত হইবার এবং চিরোচারিত বাক্যগুলিকেই উচ্চকণ্ঠে পুনঃপুন আবৃত্তি করিবার প্রতি তাহাদের অবিচলিত নিষ্ঠ, তখন ছাত্রদের জ্যোতিঃপিপাসু বিকাশোন্মুখ তারুণ্যের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়াই আমি চিত্তের অবসাদ দূর করিয়াছি। দেশের ভবিষৎকে ধাহারা জীবনের মধ্যে প্রচ্ছন্নভাবে বহন করিয়া আমানতেজে শনৈঃশনৈ উদয়পথে অধিরোহণ করিতেছেন, র্তাহাদিগকে অনুনয়সহকারে বলিতেছি, অন্যান্ত শিক্ষার সহিত স্বদেশের সকল বিষয়ে

  • ब्रबोऊ-ब्रछनांक्ली, ट्रठीव्र पं७, ‘जांब्रशंख्'ि, “शं बप्प्रब्र aथडि नखांद१”