পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Soo ब्रोक्ष-द्रिष्न्सावर्दी ܓ শ্ৰীবিজয়লক্ষ্মী তোমায় আমায় মিল হয়েছে কোন যুগে এইখানে । ভাষায় ভাষায় গাঠি পড়েছে, প্ৰাণের সঙ্গে প্ৰাণে । ডাক পাঠালে আকাশপথে কোন সে পুবেন বায়ে দূর সাগরের উপকুলে নারিকেলের ছায়ে । তোমার বাণী এ পার হতে মিলল তারি মাঝে । “অজানা ওই সিন্ধুতীরে নেব আমার পুজা ।” পুব সাগরে হাত বাড়িয়ে বললে, “চলো, চলো ।” রামায়ণের কবি আমায়। কইল আকাশ হতে, “আমার বাণী পার করে দাও দূর সাগরের স্রোতে ।” তোমার ডাকে উতলি হল বেদব্যাসের ভাষাবললে, “আমি ওই পারেতে বাধব নুতন বাসা ।” “আমায় বয়ে যাও গো লয়ে সুদূর দেশের পানে ৷” সেদিন প্ৰাতে সুনীল জলে ভাসল আমার তরীশুভ্ৰ পালে গর্ব জাগায় শুভ হাওয়ায় ভরি । তোমার ঘাটে লাগল এসে, জাগল সেথায় সাড়া, প্ৰথম দেখা আবছায়াতে আঁধার তখন ধরা, সেদিন সন্ধ্যা সপ্তঋষির আশীর্বাদে ভরা । প্ৰাতে মোদের মিলনপথে উষা ছড়ায় সোনা, সে পথ বেয়ে লাগল দোহার। প্ৰাণের আনাগোনা ! দুইজনেতে বাধীন বাসা পাথর দিয়ে গেথে, দুইজনেতে বসন সেথায় একটি আসন পেতে । বিরহরাত ঘনিয়ে এল কোন বরষের থেকে, বিস্মরণের ভাটা বেয়ে কবে এলেম ফিরে ব্লকান্ত হাতে রিক্তমনে একা। আপনি তীরে । বঙ্গসাগর বহুবরষ বলে নি মোর কানে সে যে কতু সেই মিলনের গোপন কথা জানে । জাহ্নবীও আমার কাছে গাইল না। সেই গানসুন্দুর পারের কোথায় যে তার আছে নাভীর টান । এবার আবার ডাক শুনেছি, হাদয় আমার নাচে, হাজার বছর পার হয়ে আজ আসি তোমার কাছে ।