S28
দেখবে আমায় স্বপন-দেখা চোখে,
চমকে উঠে বলবে তুমি, ‘ও কে,
ga VTK 50S Vio Vol 1o
সে রােপ আমার দেখবে ছায়ালোকে ।
যে রূপ তোমার পরান দিয়ে আঁকা ।
৯ আশ্বিন ১৩৩৫
বিদেশে ওই সৌধশিখর-’পরে
ক্ষণকালের তীরে পথ হতে যে দেখেছিলেম, ওগো আধোক-দেখা
মনে হল তুমি অসীম একা দাড়িয়েছিলে যেন আমার একটি বিজন ক্ষণে
আর কিছু নাই। সেথায় ত্ৰিভুবনে ।
ক্ষণে ক্ষণে বাউয়ের শাখা প্ৰলাপ মমরিছে ।
মুখ দেখা না যায়, পিঠের পরে বেণীটি লুটায় । থামের পাশে হেলান-দেওয়া ঈষৎ দেখি আধখানি ওই দেহ,
অসম্পূৰ্ণ কয়টি রেখায় কী যেন সন্দেহ । বন্দিনী কি ভোগের কারাগারে, ভাবনা তোমার উড়ে চলে দূর দিগন্তপারে ? সোনার বরন শস্যখেতে, কোন-সে নদীতীরে
পূজারীদের চলার পথে, উচ্চচুড়া দেবতামন্দিরে
তারি স্মৃতি চক্ষে তোমার জল কি দিল আনি ।
কিংবা তুমি রাজেন্দ্ৰসোহাগী, সেই বহুবল্লাভের প্ৰেমে দ্বিধার দুঃখ হৃদয়ে রায় জাগি,
প্রশ্ন কি তাই শুধাও নক্ষত্রেীরে সপ্তঋষির কাছে তোমার প্রণামখানি সোরে ।
হয়তো বৃথাই সাজ’, তৃপ্তিবিহীন চিত্ততলে তৃষ্ণা-অনিল দহন করে আজও ;
তাই কি শূন্য আকাশ-পানে চাও,
উপেক্ষিত যৌবনেরি ধিক্কার জানাও ?
কিংবা আছ চেয়ে আসবে সে কোন দুঃসাহসী গোপন পন্থা বেয়ে,
বক্ষ তোমার দোলে, রক্ত নাচে ত্রাসের উতরোলে ।
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৬
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
