পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>brb" রবীন্দ্র-রচনাবলী শাস্তিসাগরে ঢেউ খেলে যায় সুন্দর তায় জাগে । আমার সব চেতনা সব বেদনা রচিল এ যে কী আরাধনা, তোমার পায়ে মোর সাধনা ৷ মরে না যেন লাজে । তোমার বন্দনা মোর ভঙ্গিতে আজ সংগীতে বিরাজে । রত্নাবলী। এ কী হচ্ছে ? গয়নাগুলো একে একে তালে তালে ওই কূপের আবর্জনার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে । ওই গেল কঙ্কণ, ওই গেল কেয়ুর, ওই গেল হার । মহারানী, দেখছেন এ সমস্ত রাজবাড়ির অলংকার—এ কী অপমান ! শ্ৰীমতী, এ আমার নিজের গায়ের অলংকার। কুড়িয়ে নিয়ে এসে মাথায় ঠেকাও, যাও এখনই। লোকেশ্বরী। শাস্ত হও, শাস্ত হও । ওর দোষ নেই, এমনি করে আভরণ ফেলে দেওয়া, এই নাচের এই তো অঙ্গ। আনন্দে আমারও শরীর দুলে উঠছে। (গলা হইতে হার খুলিয়া ফেলিয়া ) শ্ৰীমতী, থেমে না, ধেমো না । শ্রীমতীর গান ও নাচ আমি কানন হতে তুলিনি ফুল, মেলেনি মোরে ফল । কলস মম শুম্ভসম । ভরিনি তীৰ্থজল আমার তন্তু তমুতে বাধনহারা হৃদয় ঢালে অধরা-ধারা, তোমার চরণে হ’ক তা সারা পূজার পুণ্য কাজে । তোমার বন্দনা মোর ভঙ্গিতে আজ সংগীতে বিরাজে । রত্নাবলী । এ কী রকম নাচের বিড়ম্বন । নটীর বেশ একে একে ফেলে দিলে। দেখছ তো মহারানী, ভিতরে ভিক্ষুণীর পীতবস্ত্র। একেই কি পূজা বলে না ? রক্ষিণী, তোমরা দেখছ। মহারাজ কী দণ্ড বিধান করেছেন মনে নেই ?