পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wo) e. রবীন্দ্র- রচনাবলী দূরকে সাজাই নানা সাজে, আকাশের কবি যেমন দিগন্তকে সাজায় সকালে সন্ধ্যায় । কিছু কাজ করি তাতে লাভ নেই, তাতে লোভ নেই, তাতে আমি নেই । যে কাজে আছে দূরের ব্যাপ্তি তাতে প্রতিমুহূর্তে আছে আমার মহাকাশ । এই সঙ্গে দেখি মৃত্যুর মধুর রূপ, স্তন্ধ নিঃশব মুদুর, জীবনের চারদিকে নিস্তরঙ্গ মহাসমুদ্র ; সকল সুন্দরের মধ্যে আছে তার আসন, তার মুক্তি । অন্ত কথা পরে হবে । গোড়াতেই বলে রাখি তুমি চ পাঠিয়েছ, পেয়েছি । এতদিন খবর দিইনি সেটা আমার স্বভাবের বিশেষত্ব । যেনন আমার ছবি আঁকা, চিঠি লেখাও তেমনি । . ঘটনার ডাকপিওনগিরি করে না সে । নিজেরই সংবাদ সে নিজে । জগতে রূপের আনাগোনা চলছে, সেই সঙ্গে আমার ছবিও এক-একটি রূপ, অজানা থেকে বেরিয়ে আসছে জানার দ্বারে । সে প্রতিরূপ নয় । মনের মধ্যে ভাঙাগড়া কত, কতই জোড়াতাড়া, কিছু বা তার ঘনিয়ে ওঠে ভাবে, কিছু বা তার ফুটে ওঠে চিত্রে ; এতদিন এই সব আকাশবিহারীদের ধরেছি কথার গদে। মন তখন বাতাসে ছিল কান পেতে, যে ভাব ধ্বনি খোজে তারি খোজে ।