পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক মামুষের বোধের বেগ যখন বঁাধ মানে না, বাহন করতে চায় কথাকে,-— তখন তার কথা হয়ে যায় বোবা, সেই কথাটা খোজে ভঙ্গি, খোজে ইশারা, খোজে নাচ, খোজে সুর, দেয় আপনার অর্থকে উলটিয়ে, নিয়মকে দেয় বাক ক’রে । মহিষ কাব্যে রচে বোবার বাণী । মামুষের বোধ যখন বাহন করে সুরকে তখন বিদ্যুচ্চঞ্চল পরমাণুপুঞ্জের মতোই সুরসংঘকে বাধে সীমায়, ভঙ্গি দেয় তাকে, নাচায় তাকে বিচিত্র আবর্তনে । সেই সীমায়-বন্দী নাচন পায় গানে-গড় রূপ । সেই বোবা রূপের দল মিলতে থাকে স্বষ্টির অন্দরমহলে, সেখানে যত রূপের নটী আছে ছন্দ মেলায় সকলের সঙ্গে নুপুর-বঁধে চাঞ্চল্যের দোলযাত্রায় ।” into আমি যে জানি এ-কথা যে-মহিষ জানায় বাক্যে হ’ক সুরে হক, রেখায় হ’ক, সে পণ্ডিত । இ. আমি ষে রস পাই, ব্যথা পাই, রূপ দেখি,