পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচয় व्कच هده স্বয় আপনাকে অতিক্রম করিয়া চলে। তেমনি রঙের ভঙ্গি দিয়া রেখা আপনাকে অতিক্রম করে ; রেখা যেন অরেখার দিকে আপন ইশারা চালাইতে থাকে। রেখা জিনিসটা সুনির্দিষ্ট,-আর রং জিনিসটা নির্দিষ্ট অনির্দিষ্টের সেতু, তাহ সাদা কালোর মাঝখানকার নানা টানের মড়। সীমার বাধনে বাধা কালে রেখার তারটাকে সাদ যেন খুব তীব্র করিয়া আপনার দিকে টানিতেছে, কালে তাই কড়ি হইতে অতিকোমলের ভিতর দিয়া রঙে রঙে অসীমকে স্পর্শ করিয়া চলিয়াছে। তাই বলিতেছি রং জিনিসটা রেখা এবং অরেখার মাঝখানের সমস্ত ভঙ্গি। রেখা ও অরেখার মিলনে যে ছবির স্বষ্টি সেই ছবিতে এই মধ্যস্থের প্রয়োজন। অরেখ সাদার বুকের উপর যেখানে রেখা-কালীর নৃত্য সেখানে এই রংগুলি যোগিনী । শাস্ত্রে ইহাদের নাম সকলের শেষে থাকিলেও ইহাদের কাজ নেহাত কম নয়। ' ' পূর্বেই বলিয়াছি সাদার উপর গুৰু-রেখার ছবি হয়, কিন্তু সাদার উপর শুধু রঙে ছবি হয় না। তার কারণ রং জিনিসটা মধ্যস্থ-দুই পক্ষের মাঝখানে ছাড়া কোনো স্বতন্ত্র জায়গায় তার অর্থই থাকে না । এই গেল বণিকাভঙ্গ । এই ছবির ছয় অঙ্গের সঙ্গে কবিতার কিরূপ মিল আছে তাহা দেখাইলেই কথাটা বোঝা হয়তো সহজ হুইবে । ছবির স্কুল উপাদান যেমন রেখা তেমনি কবিতার স্কুল উপাদান হইল বাণী। সৈন্তদলের চালের মতো সেই বাণীর চালে একটা ওজন একটা প্রমাণ আছে—তাহাই ছন্দ। এই বাণী ও বাণীর প্রমাণ বাহিরের অল, ভিতরের অঙ্গ ভাব ও মাধুর্ব। এই বাহিরের সঙ্গে ভিতরকে মিলাইতে হুইবে । বাহিরের কথাগুলি ভিতরের ভাবের সদৃশ হওয়া চাই ; তাহ হইলেই সমস্তটায় মিলিয়া কবির কাব্য কবির কল্পনার সাদৃপ্ত লাভ করিবে। * - বহি:সাপ্ত, অর্থাৎ রূপের সঙ্গে রূপের সাদৃপ্ত, অর্থাৎ যেটাকে দেখা যায় সেইটাকে ঠিকঠাক করিয়া বর্ণনা করা কবিতার প্রধান জিনিস নহে। তাহা কবিতায় লক্ষ্য নহে উপলক্ষ্য মাত্র। এইজন্ত বর্ণনামাত্রই যে-কবিতার পরিণাম, রসিকেরা তাহাকে উচুদরের কবিতা বলিয়া গণ্য করেন মা। বাহিরকে ভিতরের করিয়া দেখা ও ভিতৱকে বাহিরের রূপে ব্যক্ত করা ইহাই কবিতা এবং সমস্ত আর্টেরই লক্ষ্য। . স্বাক্টকর্তা একেবারেই আপন পরিপূর্ণত হইতে স্বাক্ট করিতেছেন তার আৱ-কোনো উপসর্গ নাই। কিন্তু বাহিরের স্বটি মাযের ভিতরের তারে বা দিয়া যখন একটা মানস পদার্থকে জন্ম দেয়, যখন একটা রসের সুর বাজায় তখনই সে আর থাকিতে পারে না,