পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচয় # ৫২১ . 蘇 সোনার কাঠি s রূপকথায় আছে, রাক্ষসের জাস্থতে রাজকন্ত ঘুমিয়ে আছেন। যে পুরীতে আছেন সে সোনার পুরী, যে পালন্ধে গুয়েছেন সে সোনার পালঙ্ক ; সোনা মানিকের অলংকারে র্তার গা ভরা। কিন্তু কড়াক্কড় পাহারা, পাছে কোনো সুযোগে বাহিরের থেকে কেউ এসে তার ঘুম ভাঙিয়ে দেয়। তাতে দোষ কী ? দোষ এই যে, চেতনার অধিকার ৰে বড়ে । সচেতনকে যদি বলা যায় তুমি কেবল এইটুকুর মধ্যেই চিরকাল থাকবে, তার এক পা বাইরে যাবে না,তাহলে তার চৈতন্তকে অপমান করা হয়। ঘুম পাড়িয়ে রাখার সুবিধা এই যে তাতে দেহের প্রাণটা টিকে থাকে কিন্তু মনের বেগটা হয় একেবারে বন্ধ হয়ে যায়, নয় সে অদ্ভূত স্বপ্নের পথহীন ও লক্ষ্যহীন অন্ধলোকে বিচরণ করে। আমাদের দেশের গীতিকলার দশটা এই রকম । সে মোহ-রাক্ষসের হাতে পড়ে বহুকাল থেকে ঘুমিয়ে আছে। ষে ঘরটুকু ষে পালঙ্কটুকুর মধ্যে এই সুন্দরীর স্থিতি তার ঐশ্বর্ষের সীমা নেই ; চারিদিকে কারুকার্য, সে কত স্বল্প কত বিচিত্র ! সেই চেড়ির দল, যাদের নাম ওস্তাদি, তাদের চোখে ঘুম নেই ; তারা শত শত বছর ধরে সমস্ত আসা যাওয়ার পথ আগলে বসে আছে, পাছে বাহির থেকে কোনো আগন্তুক এসে ঘুম ভাঙিয়ে দেয় । তাতে ফল হয়েছে এই যে, যে কালটা চলছে রাজকন্যা তার গলায় মালা দিতে পারেনি, প্রতিদিনের নূতন নূতন ব্যবহারে তার কোনো যোগ নেই। সে আপনার সৌন্দর্ধের মধ্যে বন্দী, ঐশ্বর্ষের মধ্যে আচল । কিন্তু তার যত ঐশ্বৰ যত সৌন্দৰ্যই থাক তার গতিশক্তি যদি না থাকে তাহলে চলতি কাল তার ভার বহন করতে রাজি হয় না। একদিন দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে পালঙ্কের উপর অচলাকে গুইয়ে রেখে সে আপন পথে চলে যায়—তখন কালের সঙ্গে কলার বিচ্ছেদ ঘটে । তাতে কালেরও দারিদ্র্য, কলারও বৈকল্য । আমরা স্পষ্টই দেখতে পাচ্ছি আমাদের দেশে গান জিনিসটা চলছে না। ওস্তাদর। বলছেন, গান জিনিসটা তো চলবার জন্তে হয় নি, সে বৈঠকে বসে থাকবে তোমরা এসে সমের কাছে খুব জোরে মাথা নেড়ে বাবে ; কিন্তু মুশকিল এই যে, আমাদের বৈঠকখানার যুগ চলে গেছে, এখন আমরা যেখানে একটু বিশ্রাম করতে পাই সে মুসাফিরখানায়। যা কিছু স্থির হয়ে আছে তার খাতিরে আমরা স্থির হয়ে থাকতে পারব না। আমরা যে নদী বেয়ে চলছি সে নদী চলছে, যদি নৌকোটা না চলে তবে খুব দামি নৌকো হলেও তাকে ত্যাগ করে যেতে হবে। இ. si ونون حسسدعين ج