পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক এই অনিত্যের মাঝখান দিয়ে চলতে চলতে অনুভব করি আমার হৃৎস্পন্দনে অসীমের স্তব্ধতা । পয়ত্রিশ অঙ্গের বাধনে বাধাপড়া আমার প্রাণ আকস্মিক চেতনার নিবিড়তায় চঞ্চল হয়ে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে, তখন কোন কথা জানাতে তার এত অধৈৰ্য । —যে কথা দেহের অতীত । খাচার পাখির কণ্ঠে যে বাণী সে তো কেবল খাচারি নয়, তার মধ্যে গোপনে আছে সুদূর অগোচরের অরণ্য-মর্মর, আছে করণ বিস্মৃতি । সামনে তাকিয়ে চোখের দেখা দেখি — এ তে কেবলি দেখার জাল-বোন নয় । — বসুন্ধর তাকিয়ে থাকেন নির্নিমেষে দেশ-পারানো কোন দেশের দিকে, দিশ্বলয়ের ইঙ্গিতলীন இர் কোন কল্পলোকের অদৃপ্ত সংকেতে । দীর্ঘপথ ভালোমন্দয় বিকীর্ণ, রাত্রিদিনের যাত্রা দুঃখমুখের বন্ধুর পথে । শুধু কেবল পথ চলাতেই কি এ পথের লক্ষ্য ? ভিড়ের কলরব পেরিয়ে আসছে গানের আহবান, তার সত্য মিলবে কোনখানে ? ه ولا حسسي ميالا a○