পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミのの রবীন্দ্র-রচনাবলী হিমালয় পর্বত বানিয়েছেন? বেঙ্কটের ঘরে সেটা ধরলই বা কোথায়! মধুসূদন। এক আঁচড়ে লক্ষ লক্ষ কথা লিখতে পারতেন তাঁরা। নবীন। অসম্ভব। (3.5 মধুসূদন। অসম্ভব! যা তোমার বুদ্ধিতে কুলোয় না। তাই অসম্ভব। ভারি তোমার সায়ান্স! যা যা, আর বকিস নে। [ নবীনের প্রস্থান তৃতীয় দৃশ্য . ছাদের এক কোণে শ্যামাসুন্দরী দাঁড়িয়ে দেখছিল মধুসূদনের প্রবেশ মধুসূদন। তুমি কী করছ এত রাত্রে এখানে ? শ্যামাসুন্দরী। শুয়ে ছিলুম। তোমার পায়ের শব্দ শুনে ভয় হল। ভাবলুম বুঝি— মধুসূদন। আস্পর্ধ বাড়ছে দেখছি। আমার সঙ্গে চালাকি করতে চেয়ে না। সাবধান করে দিচ্ছিা! শ্যামাসুন্দরী। চালাকি করব না ঠাকুরপো। যা দেখতে পাচ্ছি। তাতে চােখে ঘুম আসে না। আমরা তো আজ আসি নি, কতকালের সম্বন্ধ। আমরা সইব কী করে? মধুসূদন। আচ্ছা, থামো। বড়োবউকে পাঠিয়ে দাও আমার শোবার ঘরে। [শ্যামাসুন্দরীর প্রস্থান কুমুদিনীর প্রবেশ মধুসূদন। এসো, বোসো। কুমুদিনী সোফায় বসল, মধুসূদন বসিল মেঝের উপর পায়ের কাছে। কুমুদিনী উঠতে যাচ্ছিল। মধুসূদন হাত ধরে টেনে বসিয়ে দিলে। মধুসূদন। উঠা না, শোনাে আমার কথা। আমি এখনি আসছি। বলো তুমি চলে যাবে না। কুমুদিনী। না, যাব না। মধুসূদনের প্রস্থান। কুমুদিনীর মৃদুম্বরে গান। নবীন ও মেতির মাকে নিয়ে মধুসূদনের প্রবেশ মধুসূদন। শোনো বলি, কাল তোমাদের রজবপুরে যেতে বলেছিলুম, কিন্তু তার দরকার নেই। কাল থেকে বিশেষ করে বড়োবউয়ের সেবায় তোমাকে নিযুক্ত করে দিলুম। এই বলে দিলুম, এখন যাও। [উভয়ের প্রস্থান ( g( বড়োবউ— তােমার দাদার টেলিগ্রাম এসেছে। কুমুদিনী চমকে উঠল। আশীৰ্বাদ জানিয়েছেন, লিখেছেন উদবেগের কারণ নেই। বড়োবউ, তুমি কি এখনো আমার উপর রাগ করে আছ? কুমুদিনী। না, আমার রাগ নেই, একটুও না।