পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী, ফায়ুন ১৩৪৭ ২৫ (পৌষ ১৩৪৭ (?O নাকের ডগা ঘসিয়া হাসে দেয় না পষ্ট জবাব বাঙালি কাজ করে সে ষোলো আনার খাতা এবং ছাপাখানার মাঝখানে সে বাধে জাঙালি । (ζ Σ সুধীর যখন কর্ম করেন সু— ধীর করাক্ষেপে ধৈর্যহারা কবি যান যে ক্ষেপে । রেগেমেগে কাজুরামকে বলেন—“সুধীর কর-কে বোলাও জলদি কারকে।” মাথা চুলকে বাঙাল যখন সামনে এসে দাঁড়ায় ( লেখার যত আবর্জনা, জেনে রেখো সকলে সমস্ত রায় কর-মশায়ের দখলে ; (?○ আরোগ্যশালার রাজকবি সুধাকান্ত আঁকে বসি প্রতাহের তুচ্ছতার ছবি। অকিঞ্চিৎকারের স্তুপ জমাইছে। এ আরোগ্যশালা। লিখিবার বাণী কোথা যে দিকেই দু চক্ষু বুলাই অর্থহীন ছড়া কেটে কোনোমতে নিজেরে ভুলাই। ধাক্কা তারে দেয়। পিছে ক্ষ্যাপা উনপঞ্চাশ বায়ু এ বোলা ও বেলা তার আয়ু । পোষাকি যে সাজে মাথা তুলে বসি সভামাঝে, সে আমার রঙ মাজা খোলসগুলোয় ঢ়িল লেগে তারা আজ খসেছে ধূলোয়, সুধাকান্ত নেপথ্যেই লোক করে জড়ো, পাঁচ জনে খুশি হয় বড়ো কবিবার ঝাট দিয়ে আনে যাহা তাহা ।