পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぐbr রবীন্দ্র-রচনাবলী , রমেশচন্দ্ৰ দত্ত স্বগীয় রমেশচন্দ্র দত্ত মহাশয়ের জীবনী সম্বন্ধে আমি বিশেষ কিছু জানি বলিয়া তো গর্ব করিতে পারি না। অবশ্য র্তাহার সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল এবং তিনি আমাকে কিছু মোহও করিতেন। তাহার মৃত্যুর কিছু পূর্বে বরোদার সাহিত্য-পরিযৎ স্থাপন উপলক্ষে তিনি আমাকে দুই-তিনখানি পত্রে বিশেষভাবে অনুরোধ করিয়াছিলেন, যাইতে পারি নাই বলিয়া অদ্য আমার হৃদয় অত্যন্ত অনুতপ্ত আছে। র্তাহার চরিত্রে প্রণের বেগের সঙ্গে অপ্ৰমত্ততার যে সম্মিলন ছিল তাহা এখনকার কালে দুর্লভ। তাহার সেই প্রচুর প্রাণশক্তি র্তাহাকে দেশহিতকর বিচিত্র কর্মে প্রবৃত্ত করিয়াছে, অথচ সে শক্তি কোথাও আপনার মর্যাদা লঙ্ঘন করে নাই। কী সাহিতো, কী রাজকার্যে কী দেশহিতে সর্বদাই তীহার উদ্যম পূর্ণবেগে ধাবিত হইয়াছে, কিন্তু সর্বত্রই আপনাকে সংযত রাখিয়াছেন— বস্তুত ইহাই বলশালিতার লক্ষণ। এই কারণে সর্বদাই তাহার মুখে প্ৰসন্নতা দেখিয়াছি- এই প্ৰসন্নতা তাহার জীবনের গভীরতা হইতে বিকীর্ণ। স্বাস্থ্য তঁহার দেহে ও মনে পরিপূর্ণ হইয়াছিল— তাহার কর্মে এবং মানুষের সঙ্গে তঁহার ব্যবহারে এই তাহার নিরাময় স্বাস্থ্য একটি প্রবল প্রভাব বিস্তার করিত। তাহার জীবনের সেই সদাপ্রসন্ন অরুগণ নিমৰ্লতা আমার স্মৃতি অধিকার করিয়া আছে। আমাদের দেশে তীহার আসনটি গ্রহণ করিবার আর দ্বিতীয় কেহ नाशे! शेडि S७ (श्रेींश, ७७७७ মানসী। আষাঢ় ১৩১৭ সুহৃত্তম শ্ৰীযুক্ত রামেন্দ্রসুন্দর ত্ৰিবেদী হে মিত্র, পঞ্চাশংবর্ষ পূর্ণ করিয়া তুমি তোমার জীবনের ও বঙ্গসাহিত্যের মধ্যগগনে আরোহণ যখন নবীন ছিলে তখনই তোমার ললাটে জ্ঞানের শুভ্ৰ মুকুট পরাইয়া বিধাতা তোমাকে বিদ্বৎসমাজে প্রবীণের অধিকার দান করিয়াছিলেন। আজ তুমি যশে ও বয়সে প্রৌঢ়, কিন্তু তোমার হৃদয়ের মধ্যে নবীনতার অমৃতরস চিরসঞ্চিত। অন্তরে তুমি অজয়, কীর্তিতে তুমি অমর, আমি তোমাকে সাদর অভিবাদন করিতেছি। সর্বজনপ্রিয় তুমি মাধুর্যধারায় তোমার বন্ধুগণের চিত্তালাক অভিষিক্ত করিয়াছ। তোমার অভিবাদন করিতেছি। পূর্বদিগন্তে তোমার প্রতিভার রশ্মিচ্ছটা স্বদেশের নবপ্রভাতে উদবােধন সঞ্চার করিতেছে। জ্ঞান প্রেম ও কর্মের শ্রেষ্ঠ অর্ঘ্যে চিরদিন তুমি দেশমাতার পূজা করিয়াছ। হে মাতৃভূমির প্রিয়পুত্র, আমি তোমাকে সাদর অভিবাদন করিতেছি। সাহিত্য-পরিষদের সারথি তুমি এই রথটিকে নিরস্তর বিজয়াপথে চালনা করিয়াছ। এই দুঃসাধ্য কার্যে তুমি অক্রোধের দ্বারা ক্রোধকে জয় করিয়াছ, ক্ষমার দ্বারা বিরোধকে বশ করিয়াছ, বীর্যের দ্বারা অবসাদকে দূর করিয়াছ এবং প্রীতির দ্বারা কল্যাণকে আমন্ত্ৰণ করিয়াছ। আমি প্রিয়াণাং ত্বা প্রিয়পতিং হবামহে নিধীনাং তু নিধিপতিং হবামহে