পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীথিক। চোখে নন্দনের স্বপ্ন, অধরের কথাহীন ভাষা মিলায় গগনে মৌন নীলিমায়, কী স্বধাপিপাসা আমরার মরীচিকা রচে তব তমুদেহ ঘিরে । অনাদিবীণায় বাজে যে রাগিণী গভীরে গম্ভীরে স্বষ্টিতে প্রস্ফুটি উঠে পুষ্পে পুষ্পে, তারায় তারায়, উত্তঙ্গ পর্বতশৃঙ্গে, নিঝরের দুর্দম ধারায়, জন্মমরণের দোলে ছন্দ দেয় হাসিক্ৰন্দনের, সে অনাদি স্বর নামে তব স্বরে, দেহবন্ধনের পাশ দেয় মুক্ত করি, বাধাহীন চৈতন্য এ মম নিঃশব্দে প্রবেশ করে নিখিলের সে অন্তরতম প্রাণের রহস্তলোকে— যেখানে বিদ্যুৎ-স্বজ্ঞছায়া করিছে রূপের খেলা, পরিতেছে ক্ষণিকের কায়া, আবার ত্যজিয়া দেহ ধরিতেছে মানসী আকৃতি— সেই তো কবির কাব্য, সেই তো তোমার কণ্ঠে গীতি । ९ छार्छ s७8२ চন্দননগর ছবি একলা বসে, হেরো, তোমার ছবি একেছি আজ বসন্তী রঙ দিয়া— খোপার ফুলে একটি মধুলোভী মৌমাছি ওই গুঞ্জরে বন্দিয়া । সমুখ-পানে বালুতটের তলে শীর্ণ নদী শাস্ত ধারায় চলে, বেণুচ্ছায়া তোমার চেলাঞ্চলে উঠিছে স্পন্দিয়া । মগ্ন তোমার স্নিগ্ধ নয়ন ছুটি ছায়ায় ছন্ন অরণ্য- মঙ্গনে