পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী واS O আছি আমরা আরামে। বাধা আজ অল্প-একটু বুঝি সরেছে— তাই ওমরে-ওঠা দুঃখসমূত্রের ধ্বনি সামান্ত একটু শোনা গেল। স্থমিত্রা। ঠাকুর, বাধা আছে তো আছে— কিন্তু তার সামনে দাড়িয়ে আর্তনাদ করছে কেন, ভীরু সব । বিধাতা যাদের অবজ্ঞা করেন তাদের দয়া করেন না তাও কি এরা জানে না ? দ্বার ভেঙে ফেলুক-না। বিচার ভয়ে ভয়ে চায় বলেই তো ওরা বিচার পায় না। রাজা যত বড়ো জোরের সঙ্গে ওদের কাছে কর দাবি করে, তত বড়ো জোরের সঙ্গেই ওদের বিচার চাবার অধিকার। ধর্মের বিধান মামুষের অনুগ্রহের দান নয়। আমাকে নিয়ে চলো ঠাকুর, ওদের মাঝখানে । দেবদত্ত। মহারানী, তোমার নিজের জায়গায় থাকলেই ওদের বাচাতে পারবে ; তোমার আসন যেখানে তোমার শক্তি সেখানেই । সুমিত্রা। আমার আসন ! আমার আসন আমি পাই নি। অহৰ্নিশি সেই শূন্তত সইতে পারছি নে, মন কেবলই বলছে, রুদ্রভৈরবের পায়ের কাছেই আমার স্থান— দেখিয়ে দিন তিনি পথ, ভেঙে দিন তিনি বিঘ্ন, ব্যর্থতার অপমান থেকে সেবিকাকে উদ্ধার করুন । [ উভয়ের প্রস্থান নরেশ ও বিপাশার প্রবেশ নরেশ । শোনো শোনো, বিপাশা, শুনে যাও । বিপাশা । শোনবার যোগ্য কথা থাকলে তবেই শুনব । নরেশ । আমি বলতে এসেছি জালন্ধর কাশ্মীর জয় করে নি । বিপাশা। কবে তোমার ভুল ভাঙল। নরেশ । প্রতিদিনই ভাঙছে। প্রতিদিনই প্রমাণ পাচ্ছি, কাশ্মীরই জালন্ধর জয় করেছে। হার মানলুম। এখন প্রসন্ন হও । বিপাশা। তার সময় আসে নি । নরেশ । কবে আসবে। বিপাশা। যখন আর-একবার তোমার সৈন্ত নিয়ে কাশ্মীরে যুদ্ধ করতে যাবে। নরেশ । যাব যুদ্ধ করতে, চেষ্টা করে হেরেও আসব। 基 বিপাশা ৷ চেষ্টা করতে হবে না, বীরপুরুষ । সেই যুদ্ধটা না দেখে আমি যেন না মরি। ছলনাকে গৌরব বলে অহংকার করছ গেইটে চূর্ণ হবে তবেই ধৰ্ম আছেন ७ कथं मांनद । 德 নরেশ । সত্য বলছি, সেই গৌরবটাকে ফেলে দিতে পারলে বাচি ।