পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলমোড়া Y VO SOA ছড়ার ছবি তালগাছ বেড়ার মধ্যে একটি আমের গাছে গভীরতায় আসার জমিয়ে আছে । পরিতৃপ্ত মূর্তিটি তার তৃপ্ত চিকন পাতায়, দুপুরবেলায় একটুখানি হাওয়া লাগছে মাথায় । মাটির সঙ্গে মুখোমুখি ঘাসের আঙিনাতে সঙ্গিনী তার শ্যামল ছায়া, আঁচলখনি পাতে । গোরু চরে রৌদ্রছায়ায় সারা প্রহর ধরে ; খাবার মতো ঘাস বেশি নেই, আরাম শুধুই চারে । পেরিয়ে বেড়া ওই যে তালের গাছ, নীল গগনে ক্ষণে ক্ষণে দিচ্ছে পাতার নাচ । আশেপাশে তাকায় না সে, দূরে-চাওয়ার ভঙ্গি, এমনিতরো ভাবটা যেন নয়। সে মাটির সঙ্গী । ছায়াতে না মেলায় ছায়া বসন্ত-উৎসবে, বায়না না দেয় পাখির গানের বনের গীতরবে । তারার পানে তাকিয়ে কেবল কাটায় রাত্ৰিবেলা, জোনাকিদের 'পরে যে তার গভীর অবহেলা । উলঙ্গ সুদীর্ঘ দেহে সামান্য সম্বলে তার যেন ঠাই উৰ্ব্ববাহু সন্ন্যাসীদের দলে । শনির দশা আধাবুড়ো ওই মানুবটি মোর নয়। চেনা একলা বসে ভাবছে, কিংবা ভাবছে না, মুখ দেখে ওর সেই কথাটাই ভাবছি, মনে মনে আমি যে ওর মনের মধ্যে নাবছি । বুঝিবা ওর মেঝোমেয়ে পাতা ছয়েক বীকে মাথার দিব্যি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল ওকে । উমারানীর বিষম জেহের শাসন, জানিয়েছিল, চতুখীতে খোকার অন্নপ্রাশন জিদ ধরেছে, হােক-না যেমন করেই আসতে হবে শুক্রবার কি শনিবারের ভোরেই। আবেদনের পত্র একটি লিখে পাঠিয়েছিল বুড়ো তাদের কর্তবাবুটিকে । S (?