পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नदीन &&& তোমার বীরকঠে। সেই ধ্বনি আজ আকাশকে পূর্ণ করল, বিষাদের স্নানতা দূর করে দিলে। অরণ্যভূমির শেষ আনন্দিত বাণী তুমিই শুনিয়ে দিলে যাবার পথের পথিককে, বললে “পুনর্দর্শনায় । তোমার আনন্দের সাহস কঠোর বিচ্ছেদের সমুখে দাঁড়িয়ে । ठ्ठा यथन खात्रावद्धि कन দূরের ডাক এসেছে। পথিক, তোমাকে ফেরাবে কে। তোমার আসা আর তোমার যাওয়াকে আজ এক করে দেখাও। যে পথ তোমাকে নিয়ে আসে সেই পথই তোমাকে নিয়ে যায়, আবার সেই পথই ফিরিয়ে আনে । হে চিরনবীন, এই বন্তিম পথেই চিরদিন তোমার রথযাত্রা ; যখন পিছন ফিরে চলে যাও সেই চলে যাওয়ার ভজিটি আবার এসে মেলে সামনের দিকে ফিরে আসায়- শেষ পর্যন্ত দেখতে পাই নে, হায় হয় করি । এখন আমার সময় হল* বিদায়বেলার অঞ্জলি যা শূন্য করে দেয় তা পূর্ণ হয় কোনখানে সেই কথাটা শোনা যাক । এ বোলা ডাক পড়েছে কোনখানে” আসন্ন বিরহের ভিতর দিয়ে শেষ বারের মতো দেওয়া-নেওয়া হয়ে যাক । তুমি দিয়ে যাও তোমার বাহিরের দান, তোমার উত্তরায়ের সুগন্ধ, তোমার বাঁশির গান, আর নিয়ে যাও এই অন্তরের বেদনা আমার নীরবতার ডালি থেকে । তুমি কিছু দিয়ে যাও খেলা-শুরুও খেলা, খেলা-ভাঙাও খেলা । খেলার আরম্ভে হল বাধন, খেলার শেষে হল বাধন খোলা । মরণে বাচনে হতে হাতে ধরে এই খেলার নাচন। এই খেলায় পুরোপুরি যোগ দাও- শুরুর সঙ্গে শেষের সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলিয়ে নিয়ে জয়ধ্বনি করে চলে যাও। আজ খেলা-ভাঙার খেলা খেলবি আয়” পথিক চলে গেল সুদূরের বাণীকে জাগিয়ে দিয়ে। এমনি করে কাছের বন্ধনকে বারে বারে সে আলগা করে দেয়। একটা কোন অপরিচিত ঠিকানার উদ্দেশ্য বুকের ভিতর রেখে দিয়ে যায়জানলায় বসে দেখতে পাই, তার পথ মিলিয়ে গেছে বনরাজিনীলা দিগন্তরেখার ওপারে । বিচ্ছেদের ডাক শুনতে পাই কোন নীলিম কুহেলিকার প্রান্ত থেকে- উদাস হয়ে যায় মন- কিন্তু সেই বিচ্ছেদের বাঁশিতে মিলনেরই সুর তো বাজে করুশ সাহানায় । বাজে করুশ সুরে, হায় দূরে এই খেলা-ভাঙার খেলা বীরের খেলা । শেষ পর্যন্ত যে ভঙ্গ দিল না। তারই জয় । বাধন ছিড়ে যে চলে যেতে পারলে, পথিকের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ল পথে, তারই জন্যে জয়ের মালা । পিছনে ফিরে ভাঙা খেলনার টুকরো কুড়োতে গেল যে কৃপণ। তার খেলা পুরো হল না- খেলা তাকে মুক্তি দিল না, খেলা তাকে বেঁধে রাখলে। এবার তবে ধুলোর সঞ্চয় চুকিয়ে দিয়ে হালকা হয়ে বেরিয়ে পড়ে। বসন্তে ফুল গাথল আমার জয়ের মালা’ এবার প্রলয়ের মধ্যে পূর্ণ হােক লীলা, শমে এসে সব তান মিলুক, শান্তি হােক, মুক্তি হােক । ওরে পথিক, ওরে প্রেমিক” eo VPVR yere A ১ ঘন্টব্য : বসন্ত । রবীন্দ্র-রচনাকী ১৫শ (সুলভ অষ্টম) খণ্ড ২ তুলনীয় ; হৃদয় আমার, ওই বুৰি তোর বৈশাখী ঝড় আসে। নটরাজ। রবীন্দ্র-রচনাবলী। ১৮শ (সুলভ arra) ve enkU: VNa rho-barysh Yan (7-Ts vrij) ve