পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের যাত্রা দ্বিতীয় সৈনিক ঐ যে আসছে কবি, ওকে জিজ্ঞাসা করি ব্যাপারটা বঁটী । পুরোহিত পাগলের মতো কথা বলছি তোমরা । , আমরাই বুঝলেম না মানে, বুঝবে কবি ? ওরা তো বানিয়ে বানিয়ে বলে কথা- শাস্ত্ৰ জানে কী ? কবির প্রবেশ h দ্বিতীয় সৈনিক এ কী উলটোপালটা ব্যাপার কবি । পুরুতের হাতে চলল না রথ, রাজার হাতে নামানে বুঝলে কিছু ? কবি ওদের মাথা ছিল অত্যন্ত উচু, মহাকালের রথের চুড়ার দিকেই ছিল ওদের দৃষ্টিনীচের দিকে নামলে না চোখ, রথের দাড়িটাকেই করলে তুচ্ছ । মানুষের সঙ্গে মানুষকে বাধে যে বাধীন তাকে ওরা মানে নি । রাগী বাধীন আজ উন্মত্ত হয়ে লেজ আছড়াচ্ছেদেবে ওদের হাড় ওঁড়িয়ে । পুরোহিত তোমার শূদ্রগুলোই কি এত বুদ্ধিমানওরাই কি দড়ির নিয়ম মেনে চলতে পারবে । কবি 9 GR. R. RNV | একদিন ওরা ভাববে, রখী কেউ নেই, রথের সর্বময় কর্তা ওরাই । দেখো, কাল থেকেই শুরু করবে। টোঁচাতেজয় আমাদের হল। লাঙল চরকা উঠাতের । তখন ঐয়াই হবেন বলরামের চেলা-- হলধরের মাতলামিতে জগৎটা উঠবে টলমলিয়ে । পুরোহিত তখন যদি রথ আর-একবার অচল হয়। বোধ করি তোমার মতো কবিরই ডাক পড়বেতিনি ফু দিয়ে ঘোরাবেন ঢাকা । কবি নিতান্ত ঠাট্টা নয়। পুরুতষ্ঠাকুর । রথযাত্রায় কবির ডাক পড়েছে বারে বারে, কাজের লোকের ভিড় ঠেলে পারে নি সে পৌঁছতে S°ላ¢