পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5国邻反 \Sტ\ტპა অন্য ইস্কুলে দিলেন, বাড়িতে অন্য মাস্টার রাখিলেন, ঘুমের সময় হইতে একঘণ্টা কাটিয়া পড়ার সময়ে যোগ করিলেন, কিন্তু ফলের তারতম্য হইল না । নন্দ পাস করিতে করিতে বি. এ. উত্তীৰ্ণ হইয়া গেল, এমন সময় তাহার পিতা তাহার প্রতি দয়া করিলেন । তিনি মরিলেন । তিন বৎসর মেয়াদ খাটিয়া এনট্রানস ক্লাস হইতে তাহার মুক্তি হইল এবং স্বাধীন নলিন আংটি বোতাম ঘড়ির-চেনে আদ্যোপান্ত চৌঘড়ি বি. এ. পাসের একঘোড়ার গাড়িকে অনায়াসে ছাড়াইয়া যাইতে লাগিল ; বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ওয়েলার ঘোড়ার সহিত সমান চালে চলিতে পারিল না । এ দিকে নলিন এবং নন্দর বিবাহের জন্য পাত্রীর সন্ধান চলিতেছে । নলিনের প্রতিজ্ঞা, সে এমন কন্যা বিবাহ করিবে যাহার উপমা মেলা ভার, তাহার জুড়ি এবং তাহার, স্ত্রীর কাছে নন্দকে হার মানিতেই হইবে } সবচেয়ে ভালোর জন্য যাহার আকাঙক্ষা, অনেক ভালো তাহাকে পরিত্যাগ করিতে হয় । কাছাকাছি ফাকি দিয়া আর কাহারও ভাগ্যে জোটে । অবশেষে খবর পাওয়া গেল, রাওলপিণ্ডিতে এক প্রবাসী বাঙালির এক পরমাসুন্দরী মেয়ে আছে। কাছের সুন্দরীর চেয়ে দূরেব সুন্দরীকে বেশি লোভনীয় বলিয়া মনে হয় । নলিন মাতিয়া উঠিল, খরচপত্ৰ দিয়া কন্যাকে কলিকাতায় আনানো হইল । কন্যাটি সুন্দরী বটে । নলিন কহিল, “যিনি যাই করুন, ফস করিয়া রাওলপিণ্ডি ছাড়াইয়া যাইবেন এমন সাধ্য কাহারও নাই। অন্তত এ কথা কেহ বলিতে পরিবেন না যে, এ মেয়ে তো আমরা পূর্বেই দেখিয়াছিলাম, পছন্দ হয় নাই বলিয়া সম্বন্ধ করি ` কথাবার্তা তো প্ৰায় একপ্রকার স্থির, পানপত্রের আয়োজন হইতেছে, এমন সময় একদিন প্ৰাতে দেখা গেল, ননীগোপালের বাডি হইতে বিচিত্র থালার উপর বিবিধ উপটৌকন লইয়া দাসীচাকরের দল সার বাধিয়া চলিয়াছে । নলিন কহিল, “ দেখে এসে তো হে, ব্যাপারখানা কী ।” খবর আসিল, নন্দর ভাবী বধুর জন্য পানপত্র যাইতেছে। নলিন তৎক্ষণাৎ গুড়গুডি টানা বন্ধ করিয়া সচকিত হইয়া উঠিয়া বসিল ; বলিল, “খবর নিতে হচ্ছে ऊा !" তৎক্ষণাৎ গাড়ি ভাড়া করিয়া ছড় ছড়া শব্দে দূত ছুটিল। বিপিন হাজরা ফিরিয়া আসিয়া কহিল, নলিনের বুক দমিয়া গেল, কহিল, “বল কী হে ।” হাজরা কেবলমাত্ৰ কহিল, “খাসা মেয়ে ।” নলিন বলিল, “এ তো দেখতে হচ্ছে ।” পারিষদ বলিল, “সে আর শক্তটা কী !” বলিয়া তৰ্জনী ও অঙ্গুষ্ঠে একটা কাল্পনিক টাকা বাজাইয়া प्रिल । সুযোগ করিয়া নলিন মেয়ে দেখিল । যতই মনে হইল, এ মেয়ে নন্দর জন্য একেবারে স্থির হইয়া গেছে ততই বোধ হইতে লাগিল, মেয়েটি রাওলপিগুজার চেয়ে ভালো দেখিতে । দ্বিধাপীড়িত হইয়া নলিন পারিষদকে জিজ্ঞাসা করিল, “কেমন ঠেকছে। হে ।” হাজরা কহিল, “আজের, আমাদের চোখে তো ভালোই ঠেকছে!” ननिन् कशिठ्, '(न ख्याला कि ७) उाला ।।” হাজরা বলিল, “এ-ই ভালো ।” তখন নলিনেব বোধ হইল, ইহার চোখের পল্লব তাহার চেয়ে আরো একটু যেন ঘন ; তাহার রঙটা