পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

് 9.SS ২ । ভকত | সেথায় | খোলো ছা | ০০র | এইরকম ভাগে কোনো দোষ নেই। কিন্তু, তুমি যে ভাগ করেছিলো | র০০ । এটা চলে না ; যেহেতু ‘র’ হসন্ত বৰ্ণ, ওর পরে স্বরবর্ণ নেই, অতএব টানব कांक । ৩ । ‘জনগণ গান যখন লিখেছিলেম। তখন ‘মারাঠা বানান করি নি । মারাঠিরাও প্রথমবর্ণে আকার দেয় না । আমার ছিল 'মারাঠা । তার পরে ধারা শোধন করেছেন তারাই নিরাকারকে সাকার করে তুলেছেন, আমার চোখে পড়ে নি । ৪ । ‘জাগিয়ে’ ও ‘রটিয়ে' শব্দের গিয়ে” ও “টিয়ে প্রাকৃত-বাংলার মতে এক মাত্ৰাই । আমি যদি পরিবর্তন করে থাকি টোকে স্বীকার করবার প্রয়োজন নেই । o MARSK ) w তুমি যে 'স্নান' শব্দটিকে হসন্তভাবে উচ্চারণ কর এ আমার কাছে নতুন লাগল ; আমি কখনোই স্নান' বলি নে ! প্ৰাকৃত-বাংলায় যে-সব শব্দ অতিপ্ৰচলিত তাদেরই উচ্চারণে এইরকম স্বরলিপ্তি সহ্য কবা চলে : 'মান' শব্দটা সে-জাতের নয় এবং ওটা অতি সুন্দর শব্দ, ওকে বিনা দোষে জরিমানা করে ওর স্বারহরণ কোরো না, তোমার কাছে এই আমার দরবার । যতি বলতে বোঝায় বিরাম । ছন্দ জিনিসটাই হচ্ছে আবৃত্তিকে বিরামের বিশেষ বিধির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত 卒邓1 ললিত ল ৷ বঙ্গ ল { তা পরি ; শীলন । প্ৰত্যেক চার মাত্রার পরে বিরাম । বদসি যদি ৷ কিঞ্চিদপি । পাঁচ-পাচ মাত্রার শেষে বিরাম । তুমি যদি লেখা “বদসি যদ্যপি তা হলে এই ছন্দ্ৰে যতির যে পঞ্চায়তি বিধান আছে তা রক্ষা হবে না । এখানে যতিভঙ্গ ছন্দোভঙ্গ একই কথা ! প্ৰতোক পদক্ষেপের সমষ্টি নিয়ে নৃতা, কিন্তু একটিমাত্র পদ পাতে যদি চ্যুতি ঘটে তা হলে সে ক্রটি পদনিক্ষেপের ত্রুটি, সুতরাং সমন্ত নৃত্যেরই ত্রুটি । 8 ‘তোমারই কথাটাকে সাধু ভাষার ছন্দ্রেও আমরা ‘তোমারি' বলে গণ্য করি । এমন একদিন ছিল যখন করা হত না । আমিই প্ৰথমে এটা চালাই । ‘একটি শব্দকে সাধু ভাষায় তিন মাত্রার মর্যাদা যদি দেও তবে ওর হসন্ত হরণ করে অত্যাচারের দ্বারা সেটা সম্ভব হয় । যদি হসন্তা রাখ। তবে দ্বৈমাত্রিক বলে ওকে ধরতেই হবে । যদি মাছের উপর কবিতা লেখার প্রয়োজন হয় তবে ‘কাৎলা মাছকে কা-তা-লা উচ্চারণের জোরে সাধুত্বে উত্তীৰ্ণ করা আর্যসমাজি শুদ্ধিতেও বাধবে । তুমি কি লিখতে চাও— পাতলা করিয়া কাটো কাতলা মাছেরে, উৎসুক নাতনী যে চাহিয়া আছে রে । আর আমি যদি লিখি পাৎলা করি কাটো প্রিয়ে কাৎলা মাছটিয়ে টাটকা করি মাও ঢেলে সরষে। আর জিয়ে, ভৌটুকি যদি জোটে তাহে মাখো লঙ্কাৰীটাে, হত্ব করে বেছে ফেলো টুকরো যত কাটা ।