পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& tur রবীন্দ্র-রচনাবলী বিদায়-অভিশাপ বিদায়-অভিশাপ চিত্রাঙ্গদার সহিত একত্র গ্রথিত হইয়া ১৩০১ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। পঞ্চভূত গ্রন্থে ‘কাব্যের তাৎপর্ষ প্রবন্ধে কবির ‘পারিপার্থিক পঞ্চভূতের জবানিতে বিদায়-অভিশাপের নানারূপ ব্যাখ্যা সন্নিবিষ্ট হইয়াছে। এই প্রসঙ্গে স্রোতস্বিনী মন্তব্য করিতেছেন— ‘কচ-দেবযানী-সংবাদেও মানবহৃদয়ের এক অতিচিরস্তন এবং সাধারণ বিবাদকাহিনী বিবৃত আছে, সেটাকে যাহারা অকিঞ্চিৎকর জ্ঞান করেন এবং বিশেষ তত্ত্বকেই প্রাধান্ত দেন তাহারা কাব্যরসের অধিকারী নহেন।’ সর্বশেষে কবি বলিতেছেন— ‘এই পর্যন্ত বলিতে পারি, যখন কবিতাটা লিখিতে বসিয়াছিলাম তখন কোনো অর্থই মাথায় ছিল না ; তোমাদের কল্যাণে এখন দেখিতেছি, লেখাট বড়ো নিরর্থক হয় নাই— অর্থ অভিধানে কুলাইয়া উঠিতেছে না। কাব্যের একটা গুণ এই যে, কবির স্বজনশক্তি পাঠকের স্বজনশক্তি উদ্রেক করিয়া দেয় ; তখন স্ব স্ব প্রকৃতিঅনুসারে কেহ বা সৌন্দর্য, কেহ বা নীতি, কেহ বা তত্ত্ব স্বজন করিতে থাকেন।••• তথাপি মোটের উপর শ্ৰীমতী স্রোতস্বিনীর সহিত আমার মতবিরোধ দেখিতেছি না।’ মালিনী মালিনী সত্যপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় -কর্তৃক প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থাবলীর ( আশ্বিন ১৩০৩) অন্তর্গত হইয়া প্রথম প্রকাশিত হয় । বৈকুণ্ঠের খাতা বৈকুণ্ঠের খাতা ১৩০৩ সালের চৈত্রে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। পরে গদ্যগ্রন্থাবলীর ‘প্রহসন খণ্ডে গোড়ায় গলদের সহিত মুদ্রিত হয়। প্রজাপতির নির্বন্ধ প্রজাপতির নির্বন্ধ চিরকুমারসভা’ নামে প্রথমে ১৩০৭ (বৈশাখ-কার্তিক, পৌষচৈত্র ) ও ১৩০৮ (বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ ) বঙ্গাব্দে ভারতী মাসিক পত্রে প্রকাশিত ও পরে হিতবাদী-কর্তৃক গ্রথিত রবীন্দ্র-গ্রন্থাবলীতে (১৩১১) ‘রঙ্গচিত্র বিভাগে সংকলিত হয় ।