পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্পনা সকরুণ তব মন্ত্রসাথে মৰ্মভেদী যত দুঃখ বিস্তারিয়া যাক বিশ্ব-’পরে, ক্লান্ত কপোতের কঠে, ক্ষীণ জাহ্নবীর শ্রান্তস্বরে, অশ্বখছায়াতেসকরুণ তব মন্ত্রসাথে । দুঃখ সুখ আশা ও নৈরাশ তোমার ফুৎকার্যক্ষুব্ধ ধূলা-সম উড়ুক গগনে, ভ'রে দিক নিকুঞ্জের স্বলিত ফুলের গন্ধসনে আকুল আকাশদুঃখ সুখ আশা ও নৈরাশ । তোমার গেরুয়া বস্ত্ৰাঞ্চল দাও পাতি নভস্তলে, বিশাল বৈরাগ্যে আবরিয়া । জরা মৃত্যু ক্ষুধা তৃষ্ণা, লক্ষকোটি নরনারী-হিয়া চিন্তায় বিকল । দাও পাতি গেরুয়া অঞ্চল । ” ছাড়ো ডাক, হে রুদ্র বৈশাখ ! ভাঙিয়া মধ্যাহ্নতন্দ্ৰা জাগি উঠি বহিরিব দ্বারে, চেয়ে রব প্রাণীশূন্য দগ্ধতৃণ দিগন্তের পারে নিস্তব্ধ নির্বাক । হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ ! ! [শান্তিনিকেতন] > ○のW。 রাত্ৰি হে শর্বরী, হে অবগুষ্ঠিতা ! তোমার আকাশ জুড়ি যুগে যুগে জপিছে যাহারা বিরচিব তাহদের গীতা । তোমার তিমিরতলে যে বিপুল নিঃশব্দ উদযোগ ভ্ৰমিতেছে জগতে জগতে আমারে তুলিয়া লও সেই তার ধ্বজচক্রহীন নীরবঘর্ঘর মহারথে । তুমি একেশ্বরী রানী বিশ্বের অন্তর-অন্তঃপুরে সুগভীরা হে শ্যামাসুন্দরী, দিবসের ক্ষয়ক্ষীণ বিরাট ভাণ্ডারে প্রবেশিয়া নীরবে রাখিছ ভাণ্ড ভরি । y Nig)