পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৯২ সন্ন্যাসী। পীেচেছে, তোমাদের গান আজ একেবারে আকাশের পরে গিয়ে পীেচেছে! দ্বার খুলেছে তীর ! দেখতে পােচ্ছ কি শারদা বেরিয়েছেন ? দেখতে পােচ্ছ না ? দূরে, দূরে, সে অনেক দূরে, বহু বহু দূরে ! সেখানে চােখ যো যায় না ! সেই জগতের সকল আরম্ভের প্রান্তে, সেই উদয়াচলে প্রথমতম শিখরটির কাছে! যেখানে প্রতিদিন উষার প্রথম পদক্ষেপটি পড়লেও তবু তীর আলো চােখে এসে পীেছয় না, অথচ ভোরের অন্ধকারের সর্বাঙ্গে কাটা দিয়ে ওঠে- সেই অনেক অনেক দূরে ! সেইখানে হৃদয়টি মেলে দিয়ে স্তব্ধ হয়ে থাকো, ধীরে ধীরে একটু একটু করে দেখতে পাবে। আমি ততক্ষণ রবীন্দ্র-রচনাবলী গান মিশ্র রামকেলি | একতালা আমরা বেঁধেছি। কাশের গুচ্ছ, আমরা மு আগমনীর গানটি গাইতে থাকি । গেঁথেছি শেফালিমালা । নবীন ধানের মঞ্জর দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা । এসে গো শারদলক্ষ্মী, তোমার শুভ্ৰ মেঘের রথে, নির্মল নীল পথে, ধৌত শ্যামল আলো-ঝলমল বনগিরিপর্বতে । মুকুট পরিয়া শ্বেত শতদল শীতল-শিশির-ঢালা। ঝরা মালতীর ফুলে আসন বিছানো নিভৃত কুঞ্জে ফিরিছে মরাল ডানা পাতিবারে তোমার চরণমূলে। গুঞ্জরতানি তুলিয়ো তোমার সোনার বীণার তারে । মৃদু মধু ঝংকারে, ক্ষণিক অশ্রুধারে । রহিয়া রহিয়া যে পরশমণি ঝলকে অলক কোণে | পলকের তরে সকরুণ করে বুলায়ো বুলায়ো মনেসোনা হয়ে যাবে সকল ভাবনা, আঁধার হইবে আলী । 5R ভৈরবী । একতালা লেগেছে অমল ধবল পালে মন্দ মধুর হাওয়া ।