পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

يعني قيمة في

  • ांखिनिटकठनं 8 e?

এই পথে অগ্রসর হয়ে যদি সত্যিই এমন কোনো একটা জায়গায় মাস্থ্য ঠেকতে পারত যেখানে একান্ত দুঃখনিবৃত্তির শূন্ততা ছাড়া আর কিছুই নেই তাহলে ব্যাকুল হয়ে তাকে জগতে দুঃখের সন্ধানে বেরোতে হত । অতএব মাহুবকে যখন বলি দুঃখনিবৃত্তির উদেশে তোমাকে সমস্ত স্বখের বাসন ত্যাগ করতে হবে তখন সে রাগ করে বলতে পারে, চাই নে আমি দুঃখনিবৃত্তি । ওর চেয়ে বড়ো কিছু একটাকে দিতে হবে কারণ মানুষ বড়োকেই চায়। সেইজন্তে উপনিষং বলেছেন ভূমৈব श्थ१ ।। অর্থাং মুখ সুখই नग्न বড়োই স্থখ। ভূমাজেব বিজিজ্ঞাসিতব্য:—এই বড়োকেই জানতে হবে একেই পেতে হবে। এই কথাটর তাংপর্ব যদি ঠিকমতো বুঝি তাহলে কখনোই বলি নে যে, চাই নে তোমার বড়োকে । কেননা, টাকায় বল, বিদ্যাতে বল, খ্যাতিতে বল, কোনো-না-কোনো বিষয়ে আমরা স্বথকে ত্যাগ করে বড়োকেই চাচ্ছি। অথচ যাকে বড়ো বলে চাচ্ছি সে এমন বড়ে নয় যাকে পেয়ে আমার আত্মা বলতে পারে আমার সব পাওয়া হল । অতএব যিনি ব্রহ্ম যিনি ভূমা যিনি সকলের বড়ো তাকেই মানুষের সামনে লক্ষ্যরূপে স্থাপন করলে মানুষের মন তাতে সায় দিতে পারে, দুঃখনিবৃত্তিকে নয়। কেউ কেউ এ কথা বলতে পারেন তাকে উদ্দেপ্তরূপে স্থাপন করলেই কী আর না করলেই কী । এই সিদ্ধি এতই দূরে যে এখন থেকে এ সম্বন্ধে চিন্তা না করলেও চলে । আগে বাসনা দূর করে, শুচি হও, সবল হও— আগে কঠোর সাধনার স্বদীর্ঘ পথ নিঃশেষে উত্তীর্ণ হও তার পরে তার কথা হবে। r! যিনি উদ্দেশ্য তাকে যদি গোড়া থেকেই সাধনার পথে কিছু-না-কিছু পাই তাহলে এই দীর্ঘ অরাজকতার অবকাশে সাধনাটাই সিদ্ধির স্থান অধিকার করে, শুচিতাটাই প্রাপ্তি বলে মনে হয়, অনুষ্ঠানটিই দেবতা হয়ে ওঠে ; পদে পদে সকল বিষয়েই মামুষের এই বিপদ দেখা গেছে। অহরহ ব্যাকরণ পড়তে পড়তে মাস্থ্য কেবলই বৈয়াকরণ হয়ে ওঠে, ব্যাকরণ যে সাহিত্যের সোপান সেই সাহিত্যে সে প্রবেশই করে না। দুধে তেঁতুল দিয়ে সেই ফুধকে দধি করবার চেষ্টা করলে হয়তো বহু চেষ্টাতেও সে দুধ না জমে উঠতে পারে, কিন্তু ষে দইয়ে তার পরিণতি সেই দুই গোড়াতেই যোগ করে দিলে দেখতে দেখতে দুধ সহজেই দই হয়ে উঠতে থাকে। তেমনি যেটা আমাদের পরিণামে, সেটাকে গোড়াতেই যোগ করে দিলে স্বভাবের সহজ নিয়মে পরিণাম স্বসিদ্ধ হয়ে উঠতে থাকে। আমরা র্যাকে সাধনার দ্বার চাই, গোড়াতেই তার হাতে আমাদের হাত সমর্পণ