পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ना, cन कांद्र७ जtछ किडूबांब *ष झांछcछ छाग्र न । dहे चांगछिहे श्रव्ह शैवप्नब्र ধর্ম ; সমস্তৰেই.সে নেবে বলে সকলের সঙ্গেই সে কেবল লড়াই করছে । । ত্যাগ বড়ো স্বন্দর, বড়ো কোমল । সে দ্বার খুলে দেয় । সঞ্চয়কে লে কেবল এক জায়গায় শুপাকাররূপে উদ্ধত হয়ে উঠতে দেয় না। সে ছড়িয়ে দেয়, বিলিয়ে দেয়। মৃত্যুরই সেই ঔদাৰ। মৃত্যুই পরিবেষণ করে, বিতরণ করে। যা এক জায়গায় বড়ে হয়ে উঠতে চায় তাকে সর্বত্র বিস্তীর্ণ করে দেয় । । * V. সংসারের উপরে মৃত্যু আছে বলেই আমরা ক্ষমা করতে পারি। নইলে আমাদের মনটা কিছুতে নরম হত না। সব যায়, চলে যায়, আমরাও যাই । এই বিষাদের ছায়ায় সর্বত্র একটি করুণা মাখিয়ে দিয়েছে । চারিদিকে পূরবী রাগিণীর কোমল স্বরগুলি বাজিয়ে তুলে আমাদের মনকে আভ্র করেছে। এই বিদায়ের স্বরটি যখন কানে এসে পৌছোয় তখন ক্ষমা খুবই সহজ হয়ে যায়, তখন বৈরাগ্য নিঃশব্দে এসে আমাদের নেবার জেদটাকে দেবার দিকে আস্তে আস্তে ফিরিয়ে দেয় । কিছুই থাকে না এইটে যখন জানি তখন পাপকে দুঃখকে ক্ষতিকে আর একান্ত বলে জানি নে। দুৰ্গতি একটা ভয়ংকর বিভীষিকা হয়েই উঠত যদি জানতুম সেযেখানে আছে সেখান থেকে তার আর নড়চড় নেই। কিন্তু আমরা জানি সমস্তই সরছে এবং লেও সরছে স্বতরাং তার সম্বন্ধে আমাদের হতাশ হতে হবে না। অনন্ত চলার মাঝখানে পাপ কেবল একটা জায়গাতেই পাপ, কিন্তু সেখান থেকে সে এগোচ্ছে । আমরা সব সময়ে দেখতে পাই নে কিন্তু সে চলছে । ওইখানেই তার পথের শেষ নয়—সে পরিবর্তনের মুখে, সংশোধনের মুখেই রয়েছে। পাপীর মধ্যে পাপ যদি স্থির হয়েই থাকত তাহলে সেই স্থিরত্বের উপর রুত্রের অসীম শাসনদও ভয়ানক ভার হয়ে তাকে একেবারে বিলুপ্ত করে দিত। কিন্তু বিধাতার দও তো তাকে এক জায়গায় চেপে রাখছে না, সেই দণ্ড তাকে তাড়না করে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই চালানোই তার ক্ষম। তার মৃত্যু কেবলই মার্জনা করছে, কেবলই ক্ষমার অভিমুখে বহন করছে। t আজ বর্বশেষ আমাদের জীবনকে কি তার সেই ক্ষমার স্বারে এনে উপনীত করবে না? যার উপরে মরণের শিলমোহর দেওয়া আছে, বা বাবার জিনিস তাৰে কি আজও আমরা যেতে দেব না। বছর ভরে যেসব পাপের আবর্জনা সঞ্চয় করেছি, জাজ বৎসরকে বিদায় দেবার সময় কি তার কিছুই বিদায় দিতে পারব না? ক্ষমা করে ক্ষমা নিয়ে নির্মল হয়ে নৰ বংগরে প্রবেশ করতে পাৰ । - আজ আমাৰ মুঠ শিখিল হক। কেবল কবি এবং কেবল মাৱৰ এই করে কোনো ইখ কোনো পার্থকতা পাই নি। ধিনি সমর্থ গ্রহণ করেন আজ তার সম্মুখে এসে,