পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবি । ভগ্নহৃদয় এখনো কি আমাদের ফুরায় নি কাজ ? হৃদয় রেী ! হৃদয় রে ! ওরে দগ্ধ মন ! আমাদের তীরে ধরা হয় নি। সৃজন ! মুরলা লো ! চেয়ে দেখ- চেয়ে দেখা হােথা ! বল দেখি এত হাসি এত মিষ্ট সুধারাশি হেন মুখ হেন আঁখি দেখেছিস কোথা ? এমন সুন্দরী আহা কাভু দেখি নাইকবির প্রেমের যোগ্য। আর কিবা চাই ! কবিতার উৎস-সন্ম ও নয়ন হতে ঝরিবে কবিতা তব হন্দে শত-স্রোতে ! হাসিময় সৌন্দর্য্যের কিরণ-পরিশে। বিহঙ্গম-হৃদি তব গাহিবে হরষেমধুর সংগীতে বিশ্ব করিবে প্লাবন ! সুখে থাকো পূৰ্ণ মনে, ভালোবাসো প্ৰাণপণে প্রেমযোগ্য নারী যবে পেয়েছ এমন ! [ স্বাগত ] কেন এত অশ্রু আজি করি বরিষণ ? কেন রে কিসের দুখ ? কেন এত ফাটে বুক ? কিসের যন্ত্রণা মম করিছে। দংশন ? কখনো তো কবির অমূল্য ভালোবাসা অভাগিনী মনে মনে করি নাই আশা ! জানিতাম চিরদিন রূপহীন গুণহীন তুচ্ছ মুরলার এই ক্ষুদ্র ভালোবাসা পুরাতে নারিবে তার প্রণয়পিপাসামোরে ভালোবেসে কবি সুখী হইবে না । তবু আজ কিসের গো, কিসের যাতনা ! আজ কবি মুছেছেন অশ্রুবারিধার, বহুদিনকার আশা পূরেছে তাহার ! আহা কবি, সুখে থাকো, আর কিছু চাই নাকোএই মুছিলাম অশ্রু, আর কঁদিব না ! কিসের যাতনা মোর, কিসের ভাবনা ! ওই দেখ ফুল তুলে আঁচলটি ভরি কামিনীর শাখা লয়ে ওই দেখি ভয়ে ভয়ে পাছে কুসুমের দল ভূয়ে পড়ে ঝরি ! . ওই দেখ উচ্চ শাখে ফুটিয়াছে ফুল, তুলিবার তরে আহা কতই আকুল ! কিছুতে তুলিতে নারে কত চেষ্টা করি।-- শাখাটি ধরিয়া শেষে নাড়িছে মধুর রোষে, কুসুম শতধা হয়ে পড়িতেছে ঝরি । বিফল হইয়া শেষে সখীদের কোলে ওই দেখা হেসে হেসে পড়িতেছে ঢলে ! Q(2○