পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

丐霄交环可 যুঝিতে মনের সাথে পারে না সে আর ! থেকে না, থেকে না দূরে থেকে না গো প্ৰভু, মুরলারে ত্যাগ করে যেও না গো কভু ! শ্রান্ত ক্লান্ত অতি দীন- বলহীন রক্তহীন ধুলায় লুষ্ঠিত এই অতি ক্ষুদ্ৰ প্ৰাণ, তোমার মনের ছায়ে দেহ এরে স্থান ! আমারে লুকায়ে রাখা প্রসারিয়া পাখা, তোমারি বুকের কাছে রব আমি ঢাকা । নহিলে দুর্বল এই দীন অসহায় পথ হারাইয়া কোথা ভ্ৰমিয়া বেড়ায় ? তুমি, কবি, ছিলে নাকো— একেলা বিজনে নিজ হাতে বসি হেথা দুঃখের কণ্টকলতা রোপিতেছিলাম, কবি, আপনারি মনে । তাই নিয়ে অনুক্ষণ যেন আদরের ধন আত্মদাহী কল্পনায় খেলায়েছি কত, যতনে ঢেলেছি তায় অশ্রদ্ধারা শত, এবে প্ৰতি মূল তার হৃদয়ের চারি ধার দংশে শত বাহু মেলি বৃশ্চিকের মত ! তুমি, সখা, এসে কাছে— মরিতেছি জ্বলিও চরণ দিয়ে, কবি, ফেল সব দলিপ্রতি শাখা- প্ৰতি পত্র- প্ৰতি মূল তার ! এসো, কবি, বল দাও— এ হৃদয়ে বল দাও— আর কভু বর্ষিব না অশ্রুবারিধার ! কবির প্রবেশ সকাল হইতে, মুরলা সখি লো, বড়োই অধীর-হরিষে আমার হৃদয় গিয়েছে ভরে । পারি। নে রাখিতে প্ৰাণের উচ্ছাস, অধীর হইয়া সকাল হইতে খুঁজিয়া বেড়াই তোরে । তোরে না কহিলে হৃদয়ের কথা মন শান্তি নাহি মানে ! কেন, সখি, তুই বসে রয়েছিস একা একা এই খানে ? দেখ, সখি, আজ গিয়েছিনু আমি ଓଁOriନୀ<fonCନ ଏ୬, ○ と2°