পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৈশবসঙ্গীত br C» Y শত আঁখি তার পপুলকে জ্বলিছে, দিন রাত নাই কেবলি চলিছে, তরুণ মনের উছাসে অধীর ছুটেছে কোথায় ?- কে জানে কোথায় ! তেমনি তোরাও আয় ছুটে আয়, তেমনি হাসিয়া, তেমনি খেলিয়া, পুলক-উজল নয়ন মেলিয়া, হাতে হাতে বান্ধি করতালি দিয়া গান গেয়ে যাই চল । এক সাথে মোরা রব অহরহ, এক সাথে মোরা করিব গমন, সারা পথ মোরা করিব ভ্ৰমণ, হাসিছে এমন ধবা ! যে যাইবি আয়— যে থাকিবি থাক।-- যে আসিবি কর ত্বরা ! আমি যাব গো !-- প্ৰভাতের গান আর জীবনের গান দেখি যদি পারি। তবে আমি গাব গো, আমি যাব গো ! যদিও শকতি নাই। এ দীন চরণে আর, যদিও নাইক জ্যোতি এ পোড়া নয়নে আর, শতবার আশা করি শতবার ভেঙে যায় আমি যাব গো ! সারারাত ব’সে আছি, তঁমাখি মোর অনিমেষ । প্ৰাণের ভিতর দিকে চেয়ে দেখি অনিমিখে, চারি দিকে যৌবনের ভগ্ন জীৰ্ণ অবশেষ । ভগ্ন আশা ভগ্ন সুখ ধূলিমাখা জীৰ্ণ স্মৃতি । সামান্য বায়ুর দাপে ভিত্তি থর থর কঁপে, একটি আধটি ইট খসিতেছে নিতি নিতি আমি যাব গো ! নবীন আশায় মাতি পথিকেরা যায়, दक\ड5 2न्म कोस् !- এ ভগ্ন প্ৰমোদালিয়ে পশে সুর ভয়ে ভয়ে, প্ৰতিধ্বনি মৃদুল জাগায়