পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩ শ্রাবণ, ১৩০ e সোনার তরী শতবার করি আপনি সাধিয়া চুম্বিল তার মুখে । বিস্মিত কবি বিহবলপ্রায়, আনন্দে কথা খুজিয়া না পায় ;– মালাখানি লয়ে আপন গলায় আদরে পরিলা সতী । ভক্তি-আবেগে কবি ভাবে মনে চেয়ে সেই প্রেমপূর্ণ বদনে— বাধা প’ল এক মাল্য-বাধনে লক্ষ্মী-সরস্বতী । বসুন্ধর আমারে ফিরায়ে লহ, অয়ি বস্থদ্ধরে, কোলের সস্তানে তব কোলের ভিতরে, বিপুল অঞ্চলতলে । ওগো মা মৃন্ময়ী, তোমার মৃত্তিকামাঝে ব্যাপ্ত হয়ে রই ; দিগ্বিদিকে আপনারে দিই বিস্তারিয়া বসন্তের আনন্দের মতো ; বিদারিয়া এ বক্ষ-পঞ্জর, টুটিয়া পাষাণ-বন্ধ ংকীর্ণ প্রাচীর, আপনার নিরানন্দ অন্ধ কারাগার— হিল্লোলিয়া, মর্মরিয়া, কম্পিয়া, স্থলিয়া, বিকিরিয়া, বিচ্ছুরিয়া, শিহরিয়া, সচকিয়া আলোকে পুলকে প্রবাহিয়া চলে যাই সমস্ত ভূলোকে প্রাস্ত হতে প্রাস্তভাগে ; উত্তরে দক্ষিণে, পুরবে পশ্চিমে , শৈবালে শাল্বলে তৃণে