পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজুন । চিত্রাঙ্গদা । অজুন । চিত্রাঙ্গদ। যত দিন প্রসন্ন সে থাকে। রেখে যাবে যারে সুখের কলিকা, কর্মক্ষেত্র হতে ফিরে এসে সন্ধ্যাকালে দেখিবে তাহার দলগুলি ফুটে ঝরে পড়ে গেছে ভূমে, সব কর্ম ব্যর্থ মনে হবে । চিরদিন রহিবে জীবনমাঝে জীবন্ত অতৃপ্তি ক্ষুধাতুর । এস নাথ, বসো । কেন আজি এত অন্তমন । কার কথা ভাবিতেছ ? চিত্রাঙ্গদা ? আজ তার এত ভাগ্য কেন । ভাবিতেছি বীরাঙ্গনা কিসের লাগিয়া ধরেছে দুষ্কর ব্রত । কী অভাব তার । কী অভাব তার ? কী ছিল সে অভাগীর । বীর্য তার অভ্ৰভেদী দুর্গ সুদুৰ্গম রেখেছিল চতুর্দিকে অবরুদ্ধ করি রুদ্যমান রমণী-হৃদয় । রমণী তো সহজেই অস্তরবাসিনী ; সংগোপনে থাকে আপনাতে ; কে তারে দেখিতে পায়, হৃদয়ের প্রতিবিম্ব দেহের শোভায় প্রকাশ না পায় যদি । কী অভাব তার ! অরুণলাবণ্যলেখা-চিরনির্বাপিত উষার মতন, যে-রমণী আপনার শতস্তর তিমিরের তলে বসে থাকে বীর্যশৈলশৃঙ্গ’পরে নিত্য-একাকিনী কী অভাব তার ! থাক্, থাকৃ তার কথা ; পুরুষের শ্রুতিস্থমধুর নহে তার ইতিহাস । বলো বলে । শ্রবণলালসা ক্রমশ বাড়িছে মোর । হৃদয় তাহার করিতেছি অনুভব হৃদয়ের মাঝে । যেন পান্থ আমি, প্রবেশ করেছি গিয়া Sఏ\లి