পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী واس8b পৃথিবীর অনেক বাহিরে চলিয়া গেল। মর্ত্যের কোনো বন্ধন রহিল না । কালের সমস্ত ধারাবাহিকতা ছিড়িয়া গেল— অতীতকালের সমস্ত ইতিহাস লুপ্ত, ভবিষ্যৎ কালের সমস্ত ফলাফল অস্তৰ্ছিত— শুধু এই রজতধারা-প্লাবিত বর্তমানটুকু যমুনা ও যমুনাতটের মধ্যে মহেন্দ্র ও বিনোদিনীকে লইয়া বিশ্ববিধানের বাহিরে চিরস্থায়ী । মহেন্দ্র মাতাল হইয়া উঠিল । বিনোদিনী যে তাহাকে প্রত্যাখ্যান করিবে, জ্যোৎস্নারাত্রির এই নির্জন স্বৰ্গখণ্ডকে লক্ষ্মীরূপে সম্পূর্ণ করিয়া তুলিবে না, ইহা সে কল্পনা করিতে পারিল না । তৎক্ষণাৎ উঠিয়া সে বিনোদিনীকে খুজিতে বাড়ির দিকে চলিয়া গেল । শয়নগৃহে আসিয়া দেখিল, ঘর ফুলের গন্ধে পূর্ণ। উন্মুক্ত জানালা-দরজা দিয়া জ্যোৎস্নার আলো শুভ্র বিছানার উপর আসিয়া পড়িয়াছে । বিনোদিনী বাগান হইতে ফুল তুলিয়া মালা গাথিয়া খোপায় পরিয়াছে, গলায় পরিয়াছে, কটিতে বাধিয়াছে— ফুলে ভূষিত হইয়া সে বসন্তকালের পুষ্পভারলুষ্ঠিত লতাটির ন্যায় জ্যোৎস্নায় বিছানার উপরে পড়িয়া আছে । মহেঞ্জের মোহ দ্বিগুণ হইয়া উঠিল । সে অবরুদ্ধকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, “বিনোদ, আমি যমুনার ধারে অপেক্ষা করিয়া বসিয়া ছিলাম, তুমি যে এখানে অপেক্ষা করিয়া আছ, আকাশের চাদ আমাকে সেই সংবাদ দিল, তাই আমি চলিয়া আসিলাম ।” এই কথা বলিয়া মহেন্দ্র বিছানায় বসিবার জন্য অগ্রসর হইল । বিনোদিনী তাড়াতাড়ি চকিত হইয়া উঠিয়া দক্ষিণবাহু প্রসারিত করিয়া কহিল, “ষাও যাও, তুমি এ-বিছানায় বসিয়ে না।” ভরাপালের নৌকা চড়ায় ঠেকিয়া গেল— মহেন্দ্র স্তম্ভিত হইয়া দাড়াইল । অনেক ক্ষণ তাহার মুখ দিয়া কথা বাহির হইল না | পাছে মহেন্দ্র নিষেধ না মানে, এইজন্য বিনোদিনী শয্যা ছাড়িয়া আসিয়া দাড়াইল । মহেন্দ্ৰ কহিল, "তবে তুমি কাঁহার জন্য সাজিয়াছ । কাহার জন্য অপেক্ষ করিতেছ।” বিনোদিনী আপনার বুক চাপিয়া ধরিয়া কহিল, “যাহার জন্য সাজিয়াছি, সে আমার অস্তরের ভিতরে আছে ।” _ মহেন্দ্র কহিল, “সে কে । সে বিহারী ?” বিনোদিনী কহিল, “তাহার নাম তুমি মুখে উচ্চারণ করিয়ো না ।” भरश्छ । डांशब्रहे छध्र छूभि नन्किाम पूब्रिग्ना वफ़ाहेरङछ् ? বিনোদিনী । তাহারই জন্ত ।