পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমাবাই । কাহিনী পতি কোস তুই ! সে রাত্রি কি মনে পড়ে ? বিবাহসভায় সবে উৎসুক-অন্তরে বসে আছি, শুভলগ্ন হল গতিপ্ৰায়জীবাজি আসে না কেন সবাই শুধায়, চায় পথপানে । দেখা দিল হেনকালে শোনা গেল বাদ্যরব হর্ষে উচ্ছসিল অন্তঃপুরে উলুধ্বনি । দুয়ারে পশিল শতেক শিবিকা ; কোথা জীবাজি কোথায় শুদ্ধাতে না শুধাতেই বটিকার প্রায় অকস্মাৎ কোলাহলে হতবুদ্ধি করি মুহুর্তের মাঝে তোরে বলে অপহরি কে কোথা মিলালো । ক্ষণপারে নতশিরে জীবাজি বন্ধনমুক্ত এল ধীরে ধীরেশুনি নু কেমনে তাবে বন্দী করি পথে লয়ে তার দীপমালা, চড়ি তার রথে, বিজাপুর-যবনের রাজসভাসদ দস্যবৃত্তি করি গেল । সে দারুণ রাতে হোমাগ্নি করিয়া সম্পর্শ জীবাজির সাথে প্ৰতিজ্ঞা করিনু আমি— দস্যুরক্তপাতে লব এর প্রতিশোধ । বহুদিন পরে হয়েছি সে পণিমুক্ত । নিশীথসমরে জীবাজি ত্যজিয়া প্ৰাণ বীরের সদগতি লভিয়াছে । রে বিধবা, সেই তোর পতিদস্য সে তো ধর্মনাশী । ধিক পিতা, ধিক ! বধেছ পতিরে মোর— আরো মর্মান্তিক এই মিথ্যা বাক্যশেল । তব ধর্ম-কাছে পতিত হয়েছি, তবু মম ধর্ম আছে সমুজ্জ্বল ।। পত্নী আমি, নাহি সেবাদাসী । শ্রদ্ধাভরে ; ধরেছিনু পতির সন্তান গৰ্ভে মোর, বলে করি নাই আত্মদান । মনে আছে দুই পত্র একদিন রাতে . . পেয়েছিনু অন্তঃপুরে গুপ্তদূতী- Nতুমি লিখেছিলে শুধু, “হানো, তারে ছুরি ।” করো তাহা পান ।” যদি বলে পরাজিত অসহায় সতীধর্ম কেহ কেড়ে নিত তা হলে কি এতদিন হত না পালন