পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»२० রবীন্দ্র-রচনাবলী ক্ষীরো । মুখটি তো বেশ, তা চেয়ে তোমার আংটি সরেশ । দ্বিতীয়া । শুধু রূপ নিয়ে কী হবে অঙ্গে, সোনাদানা কিছু আনে নি। সঙ্গে । ক্ষীরো। যাহা এনেছিল সবি সিন্দুকে রেখেছ যতনে, বলে নিন্দুকে । কল্যাণী | এসো ঘরে এসো । ক্ষীরো । যাও গো ঘরে, সোনা পাবে শুধু বাণীর দরে । [কল্যাণী ও বধূসহ দ্বিতীয়ার প্রস্থান প্ৰথমা । দেখলি মাগীর কাণ্ড একি ! ক্ষীরো । কারে বাদ দিয়ে করে বা দেখি । তৃতীয়া । তা বলে এতটা সহ্য হয় না। ক্ষীরো । অন্যের বউ পারলে গয়না অন্যের তাতে জ্বলে যে অঙ্গ । তৃতীয়া । মাসি, জােন তুমি কতই রঙ্গ । এত ঠাট্টাও আছে তোর পেটে, হাসতে হাসতে নাড়ী যায় ফেটে । প্ৰথম । কিন্তু যা বলো, আমাদের মাতা নাই তার মতো এত বড়ো দাতা । ক্ষীরো। অর্থাৎ কিনা এত বড়ো হাবা জন্ম দেয় নি। আর কারো বাবা । তৃতীয়া । সে কথা মিথ্যে নয় নিতান্ত । দেখুনা সেদিন কুশী ও ক্ষান্ত কী ঠিকানটাই ঠকালে মা গো ! আহা মাসি, তুমি সাধে কি রাগো ! আমাদেরই গায়ে হয় অসহ্য । চতুর্থী। বুড়ো মহারাজা যে ঐশ্বৰ্য রেখে গেছে সে কি এমনি ভাবে পাচ ভূতে শুধু ঠকিয়ে খাবে। প্ৰথমা । দেখলি তো ভাই, কানা আন্দি কত টাকা পেলে । তৃতীয়া । वृद्धि लेनति জুড়ে দিলে তার কান্না অস্ত্ৰ, নিয়ে গেল কত শীতের বস্ত্ৰ । চতুর্থী। বুড়ি মাগী তার শীত কি এতই ? কথা হলে চলে, নিয়ে গেল লুই । আছে সেটা শেষে চোরের ভাগ্যেএ যে বাড়াবাড়ি । ୬୧୯୪୩ । সে কথা যােগ গে।