পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরূপ রতন ఫ్చిevరి ঠাকুরদাদা। চিনে নিয়েছি ষে—মুখে দুঃখে তাকে চিনে নিয়েছি—এখন আর সে কাদাতে পারে না । o সুদৰ্শন । আমাকেও কি সে চিনতে দেবে না ? . ঠাকুরদাদা। দেবে বই কি। নইলে এত দুঃখ দিচ্ছে কেন ? ভালো করে চিনিয়ে তবে ছাড়বে, সে তো সহজ লোক নয় । সুদৰ্শন । আচ্ছা আচ্ছা, দেখব তার কতবড়ো নিষ্ঠুরতা। পথের ধারে আমি চুপ করে পড়ে থাকব—এক পা-ও নড়ব না—দেখি সে কেমন না আসে । • ঠাকুরদা। দিদি তোমার বয়স অল্প—জেদ করে অনেকদিন পড়ে থাকতে পার—কিন্তু আমার যে এক মুহূর্ত গেলেও লোকসান হয়। পাই না-পাই একবার খুঁজতে বেরোব । [ প্রস্থান সুদৰ্শন । চাই নে, তাকে চাই নে। সুরঙ্গমা, তোর রাজাকে আমি চাই নে । কিসের জন্তে সে যুদ্ধ করতে এল ? আমার জন্তে একেবারেই না ? কেবল বীরত্ব দেখাবার জন্তে ? সুরঙ্গম । দেখাবার ইচ্ছে র্তার যদি থাকত তাহলে এমন করে দেখাতেন কারও আর সন্দেহ থাকত না । দেখান আর কই ? সুদৰ্শন । যা যা চলে যা—তোর কথা অসহ বোধ হচ্ছে। এত নত করলে তবু সাধ মিটল না ? বিশ্বমুদ্ধ লোকের সামনে এইখানে ফেলে রেখে দিয়ে চলে গেল ? [ উভয়ের প্রস্থান নাগরিকদলের প্রবেশ প্রথম। ওহে এতগুলো রাজা একত্র হয়ে লড়াই বাধিয়ে দিলে, ভাবলুম খুব তামাশা হবে—কিন্তু দেখতে দেখতে কী যে হয়ে গেল, বোঝাই গেল না । দ্বিতীয়। দেখলে না, ওদের নিজেদের মধ্যে গোলমাল লেগে গেল, কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না । তৃতীয়। পরামর্শ ঠিক রইল না ষে। কেউ এগোতে চায় কেউ পিছোতে চায়— কেউ এদিকে যায় কেউ ওদিকে যায়, একে কি আর যুদ্ধ বলে ? কিন্তু লড়েছিল রাজা বিক্রমবাহু, সে-কথা বলতেই হবে । প্রথম । সে যে হেরেও হারতে চায় না । দ্বিতীয়। শেষকালে অস্ত্রটা তার বুকে এসে লাগল। তৃতীয়। সে যে পদে পদেই হারছিল, তা যেন টেরও পাচ্ছিল না । প্রথম। অন্ত রাজার তো তাকে ফেলে কে কোথায় পালাল, তার ঠিক নেই। [ সকলের প্রস্থান