পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী ون هاه সুদৰ্শনার প্রবেশ 離 সুদৰ্শন । বেঁচেছি, বেঁচেছি সুরঙ্গম । হার মেনে তবে বেঁচেছি। ওরে বাস রে । কী কঠিন অভিমান। কিছুতেই গলতে চায় না। আমার রাজা কেন আমার কাছে আসতে যাবে—আমিই তার কাছে যাব, এই কথাটা কোনোমতেই মনকে বলাতে, পারছিলুম না । সমস্ত রাতটা পথে পড়ে ধুলোয় লুটিয়ে কেঁদেছি—দক্ষিনে হাওয়া বুকের বেদনার মতে হুহু করে বয়েছে, আর কৃষ্ণচতুর্দশীর অন্ধকারে বউ-কথা-কও চার পহর রাত কেবলই ডেকেছে—সে যেন অন্ধকারের কান্না । সুরঙ্গম । আহা কালকের রাতটা মনে হয়েছিল যেন কিছুতেই আর পোহাতে চায় না | 融 সুদৰ্শন । কিন্তু বললে বিশ্বাস করবি নে, তারই মধ্যে বার বার আমার মনে হচ্ছিল কোথায় যেন তার বীণা বাজছে। যে নিষ্ঠুর, তার কঠিন হাতে কি আমন মিনতির মুর বাজে ? বাইরের লোক আমার অসন্মানটাই দেখে গেল—কিন্তু গোপন রাত্রের সেই সুরটা কেবল আমার হৃদয় ছাড়া আর তো কেউ শুনল না । সে বীণা তুই কি শুনেছিলি । সুরঙ্গমা ? না, সে আমার স্বপ্ন ? 曙 সুরঙ্গমা । সেই বীণা শুনব বলেই তো তোমার কাছে কাছে আছি । অভিমানগলানো সুর বাজবে জেনেই কান পেতে পড়ে ছিলুম। [ উভয়ের প্রস্থান গানের দলের প্রবেশ গান আমার অভিমানের বদলে আজ নেব তোমার মালা । আজ নিশিশেষে শেষ করে দিই চোখের জলের পালা ॥ আমার কঠিন হৃদয়টারে ফেলে দিলেম পথের ধারে, তোমার চরণ দেবে তারে মধুর 어 여-히tim ছিল আমার আঁধারখানি, তারে তুমিই নিলে টানি, তোমার প্রেম এল যে আগুন হয়ে করল তারে আলা।