পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5ॉम्न खयथाग्नि • లS) “ভীরু, মৃত্যুকে পালাবার পথ বলে মনে করছ কেন ? মৃত্যু সব-চেয়ে নিশ্চিত— জীবনের সব গতিস্রোতের চরম যমুদ্র, সব সত্যমিথ্যা ভালোমন্দর নিঃশেষ সমন্বয় তার মধুেr এইবাত্রে এখনই আমর আছি সেই বিরাটের প্রসারিত বাহুর বেষ্টনে আমরা হৰনে—মনে পড়ছে ইবসেনের চারিটি লাইন— Upwards g Tow irds the peaks, Towards the stars, Towards the vast silence.” এল অতীনের হাত কোলে নিয়ে বসে রইল স্তন্ধ হয়ে । হঠাৎ অতীন হেসে উঠল । বললে, “পিছনে মরণের কালে পর্দাখানা নিশ্চল টানা রয়েছে অসীমে, তারই উপর জীবনের কৌতুকনাট্য নেচে চলছে অস্তিম অঙ্কের দিকে। তারই একটা ছবি আজ দেখে চেয়ে । আজ তিন বছর আগে এই ছাদের উপর তুমি আমার জন্মদিনের উৎসব করেছিলে, মনে আছে ?” “খুব মনে আছে।” “তোমার ভক্ত ছেলের দল সবাই এসেছিল । ভোজের আয়োজন ঘটা করে হয় নি । চিড়ে ভেজেছিলে সঙ্গে ছিল কলাইগুটি সিদ্ধ, মরিচের গুড়ে ছিটানো ; ডিমের বড়াও ছিল মনে পড়ছে। সবাই মিলে খেল কাড়াকড়ি করে। হঠাৎ মতিলাল হাতপা ছুড়ে গুরু করলে, আজ নবযুগে অতীনবাবুর নবজন্মের দিন—আমি লাফ দিয়ে উঠে তার মুখ চেপে ধরলুম, বললুম, বকৃত যদি কর, তবে তোমার পুরোনো জন্মের দিনটা এইখানেই কাবার। বট বললে, ছা ছী অতীনবাবু, বকৃতার ভ্রুণহত্যা ?—নবযুগ, নবজন্ম, মৃত্যুর তোরণ প্রভৃতি ওদের বাধাবুলিগুলো শুনলে আমার লজ্জা করে। ওরা প্রাণপণে চেষ্টা করেছে আমার মনের উপর ওদের দলের তুলি বুলোতে,–কিছুতে রং थब्बळ बां ।” “অস্ত, নিবোধ আমি ; আমিই ভেবেছিলুম তোমাকে মিলিয়ে নেব আমাদের সকল পদাতিকের সঙ্গে এক উদি পরিয়ে ।” “তাই আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে ওদের সঙ্গে ঘোরতর দিদিয়ানা করতে। ভেবেছিলে আমার সংশোধনের পক্ষে কিছু ঈর্ষার প্রয়োজন আছে। স্নেহষত্ব কুশলসম্ভাষণ বিশেষ মন্ত্রণা অনাবশুক উদ্বেগ মনিহারির রঙিন সামগ্রীর মতো ওদের সামনে সাজিয়ে রেখেছিলে তোমার পসরায় । আজও তোমার করুশ প্রশ্ন কানে শুনতে পাচ্ছি, নন্দকুমার তোমার চোখমুখ লাল দেখছি কেন। বেচার ভালোমানুষ, সত্যের অনুরোধে মাধাধরা অস্বীকার করতে না-করতে ছেড়া স্বাকড়ার জলপটি এসে উপস্থিত। আমি মুখ তবু ج 8 محسني ولا