পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্ম ל"לסא কেবল গুনিয়া জানার এবং উচ্চারণদ্বারা মানিয়া লইবার মন্ত্র নহে। গুরুর নিকট এই মন্ত্র গ্রহণ করিয়া লইয়া তাহার পরে দিনে দিনে পদে পদে ইহাকে জীবনের মধ্যে সকল করিতে হইবে। সংসারকে ক্রমে ক্রমে ঈশ্বরের মধ্যে ব্যাপ্ত করিয়া দেখিতে হুইবে । পিতাকে সেই পিতার মধ্যে, মাতাকে সেই মাতার মধ্যে, বন্ধুকে সেই বন্ধুর মধ্যে, প্রতিবেশী, স্বদেশী ও মনুষ্যসমাজকে সেই সর্বভূতান্তরাত্মার মধ্যে উপলব্ধি করিতে হইবে। ঋষিরা যে ব্রহ্মকে কতখানি সত্য বলিয়া দেখিয়াছিলেন, তাহা তাহদের একটি কথাতেই বুঝিতে পারি-ৰ্তাহারা বলিয়াছেন— তেষামেবৈষ ব্ৰহ্মলোকো যেষাং তপে ব্রহ্মচর্যং যেষু সত্যং প্রতিষ্ঠিতম,। BB B BBBBSBBBB B BBBB BBBD DDDDSDD DDDDS BBBS DDDDS DBB ' বঁাহাদের, সত্য র্যাদ্ধাদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত। অর্থাং যাহারা যথার্থভাবে ইচ্ছা করেন, যথার্থভাবে চেষ্টা করেন, যথার্থ উপায় অবলম্বন করেন। তপস্যা একটা কোনো কৌশলবিশেষ নহে, তাহা কোনো গোপনরহস্ত নহে— BB BB BBB BB BBB BB BBB BB BB BBB BBBB BB BBBB DDBBBBBB BBS ঋতই তপস্ত, সত্যই তপস্ত, শ্রুত তপস্ত, ইত্রিয়নিগ্রহ তপস্ত, দান তপস্ত, কর্ম তপস্ত এবং ভূ লাকভুবর্লোক-স্বর্লোকব্যাপী এই যে ব্রহ্ম, ইহার উপাসনাই তপস্ত। অর্থাৎ ব্রহ্মচর্যের দ্বারা বল তেজ শাস্তি সন্তোষ নিষ্ঠ ও পবিত্রতা লাভ করিয়া, দান ও কর্ম দ্বারা স্বাৰ্থপাশ হইতে মুক্তিলাভ করিয়া তবে অস্তরে-বাহিরে আত্মায়-পরে লোকলোকান্তরে ব্রহ্মকে লাভ করা যায় । উপনিষদ বলেন, যিনি ব্রহ্মকে জানিয়াছেন, তিনি সর্বমেবাৰিবেশ, সকলের মধ্যে প্রবেশ করেন । বিশ্ব হইতে আমরা যে পরিমাণে বিমুখ হই, ব্রহ্ম হইতেই আমরা সেই পরিমাণে বিমুখ হইতে থাকি। আমরা ধৈৰ্ষলাভ করিলাম কি না, অভয়লাভ করিলাম কি না, ক্ষম আমাদের পক্ষে সহজ হইল কি না, আত্মবিশ্বত মঙ্গলভাব আমাদের পক্ষে স্বাভাবিক হইলকি না, পরনিন্দ আমাদের পক্ষে অপ্রিয় ও পরের প্রতি ঈর্ষার উন্ত্রেক আমাদের পক্ষে পরম লজ্জার বিষয় হইল কি না, বৈষয়িকতার বন্ধন ঐশ্বৰ-আড়ম্বরের প্রলোভনপাশ ক্রমশ শিথিল হইতেছে কি না, এবং সর্বাপেক্ষ যাহাকে বশ করা দুরূহ সেই উষ্ঠত আত্মাভিমান বংশীরববিমুগ্ধ ভুজঙ্গমের স্তায় ক্রমে ক্রমে আপন মন্তক নত করিতেছে