ধর্ম o \OSలి উংসবের দিন নহে ;—সেদিন তো আমরা জড়ের মতো উদ্ভিদের মতে সাধারণ জন্তুর মতো—সেদিন তো আমরা আমাদের নিজের মধ্যে সর্বজয়ী মানবশক্তি উপলব্ধি করি না—সেদিন আমাদের আনন্দ কিসের ? সেদিন আমরা গৃহে অবরুদ্ধ, সেদিন আমরা কর্মে ক্লিষ্ট—সেদিন আমরা উজ্জলভাবে আপনাকে ভূষিত করি না—সেদিন আমরা উদারভাবে কাহাকেও আহবান করি না—সেদিন আমাদের ঘরে সংসারচক্রের ঘর্ঘরধ্বনি শোনা যায়, কিন্তু সংগীত শোনা যায় না । প্রতিদিন মানুষ ক্ষুদ্র দীন একাকী—কিন্তু উংসবের দিনে মানুষ বৃহৎ, সেদিন সে সমস্ত মানুষের সঙ্গে একত্র হইয়া বৃহং, সেদিন সে সমস্ত মহন্তত্বের শক্তি অনুভব করিয়া মহৎ । হে ভ্রাতৃগণ, আজ আমি তোমাদের সকলকে ভাই বলিয়া সম্ভাষণ করিতেছি – •আজ, আলোক জলিয়াছে, সংগীত ধ্বনিতেছে, দ্বার খুলিয়াছে—আজ মহন্তত্বের গৌরব আমাদিগকে স্পর্শ করিয়াছে—আজ আমরা কেহ একাকী নহি—-আজ আমরা সকলে মিলিয়া এক—আজ অতীত সহস্ৰবৎসরের অমৃতবাণী আমাদের কর্ণে ধ্বনিত হইতেছে— আজ অনাগত সহস্রবংসর আমাদের কণ্ঠস্বরকে বহন করিবার জন্য সম্মুখে প্রতীক্ষা করিয়া আছে । আজ আমাদের কিসের উংসব ? শক্তির উৎসব । মানুষের মধ্যে কী আশ্চর্ষশক্তি আশ্চর্যরূপে প্রকাশ পাইতেছে ! আপনার সমস্ত ক্ষুদ্র প্রয়োজনকে অতিক্রম করিয়া মানুষ কোন উর্ধের্ব গিয়া দাড়াইয়াছে। জ্ঞানী জ্ঞানের কোন দুলক্ষ্য দুর্গমতার মধ্যে ধাবমান হইয়াছে, প্রেমিক প্রেমের কোন পরিপূর্ণ আত্মবিসর্জনের মধ্যে গিয়া উত্তীর্ণ হইয়াছে, কৰ্মী কর্মের কোন অশ্রান্ত দুঃসাধ্য সাধনের মধ্যে অকুতোভয়ে প্রবেশ করিয়াছে ? জ্ঞানে প্রেমে কর্মে মানুষ যে অপরিমেয় শক্তিকে প্রকাশ করিয়াছে, আজ আমরা সেই শক্তির গৌরব স্মরণ করিয়া উংসব করিব। আজ আমরা আপনাকে, ব্যক্তিবিশেষ নহে, কিন্তু মানুষ বলিয়া জানিয়া ধন্য হইব । মানুষের সমস্ত প্রয়োজনকে দুরূহ করিয়া দিয়া ঈশ্বর মানুষের গৌরব বাড়াইয়াছেন। পশুর জন্য মাঠ ভরিয়া তৃণ পড়িয়া আছে, মানুষকে অন্নের জন্য প্রাণপণ করিয়া মরিতে হয়। প্রতিদিন আমরা যে অন্নগ্রহণ করিতেছি, তাহার পশ্চাতে মানুষের বুদ্ধি মামুষের উদ্যম মানুষের উদযোগ রছিয়াছে—আমাদের অন্নমুষ্টি আমাদের গৌরব। পশুর গাত্রবন্ত্রের অভাব একদিনের জন্তও নাই, মানুষ উলঙ্গ হইয়া জন্মগ্রহণ করে। শক্তির দ্বারা আপন অভারকে জয় করিয়া মানুষকে আপন অঙ্গ আচ্ছাদন করিতে হইয়াছে— গাত্ৰবন্ত্র মন্থন্তত্বের গৌরব। আত্মরক্ষার উপায় সঙ্গে লইয়া মানুষ ভূমিষ্ঠ হয় নাই, | و به سNO<
