পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্ম । -8ళిక প্রবৃত্তিকে উপবাসী রাখিয়া সংসারের লীলাভূমি হইতে উচ্চে নিভৃতে বসিয়া জ্ঞানসংগ্ৰহ করিতে প্রবৃত্ত ছিল, সংসারের ধুলার উপরে বছজোরে জাছাড় খাইয় তাহাকে কেমনতরে শক্ত জ্ঞান লাভ করিতে হইয়াছিল। মুক্তির প্রতি অসময়ে আৰখা লোভ করিয়া যেটুকু ফাকি দিতে যাইব, সেটুকু তো শোধ করিতেই হইবে, তাহার উপরে আবার ফকির চেষ্টার জন্ত দণ্ড আছে। বেশি তাড়াতাড়ি করিতে গেলেই বেশি বিলম্ব ঘটিয়া যায় । বস্তুত গ্রহণ এবং বর্জন, বন্ধন এবং বৈরাগ্য, এই দুটাই সমান সত্য—একের মধ্যেই অল্পটির বাসা, কেহ কাহাকেও ছাড়িয়া সত্য নহে । দুইকে যথার্থরূপে মিলাইতে পারিলেই তবে পূর্ণতা লাভ করিতে পারা যায়। শংকর ত্যাগের এবং অন্নপূর্ণ ভোগের মূর্তি— উভয়ে মিলিয়া যখন একাঙ্গ হইয়া যায়, তখনই সম্পূর্ণতার আনন্দ । আমাদের জীবনে যেখানেই এই শিব ও শিবানীর বিচ্ছেদ, যেখানেই বন্ধন ও মুক্তির একত্রে প্রতিষ্ঠা নাই, যেখানেই অনুরাগ ও বৈরাগ্যের বিরোধ ঘটিয়াছে সেইখানেই যত অশাস্তি, যত নিরানন্দ । সেইখানেই আমরা লইতে চাই, দিতে চাই না ; সেইখানেই আমরা নিজের দিকে টানি, অস্তের দিকে তাকাই না ; সেইখানেই আমরা যাহাকে ভোগ করি, তাহার আর অস্ত দেখিতে পাই না—অস্ত দেখিলে বিধাতাকে ধিক্কার দিয়া হাহাকার করিতে থাকি ; সেখানেই কর্মে আমাদের প্রতিযোগিতা, ধর্মেও আমাদের বিদ্বেষ ; সেখানেই কোনোকিছুরই ষেন স্বাভাবিক পরিণাম নাই, অপঘাতমৃত্যুতেই সমস্ত ব্যাপারের অকস্মাৎ বিলোপ । জীবনটাকে না হয় যুদ্ধ বলিয়াই গণ্য করা গেল। এই যুদ্ধ ব্যাপারে যদি কেবল ব্যুহের মধ্যে প্রবেশ করিবার বিস্ত আমাদের শেখ থাকে, ব্যুহ হইতে বাহির হইবার কৌশল আমরা না জানি, তবে সপ্তরধী বিরিয়া যে আমাদিগকে মারিবে। সেরূপ মরিয়াও আমরা বীরত্ব দেখাইতে পারি, কিন্তু যুদ্ধে জয় তো তাহাকে বলে না। অপর পক্ষে, যাহার ব্যুহের মধ্যে একেবারে প্রবেশ করিতেই বিরত, সেই কাপুরুষদের বীরের সদগতি নাই। প্রবেশ করা এবং বাহির হওয়া, এই দুয়ের দ্বারাতেই জীবনের চরিতার্থতা । = প্রাচীন সংহিতাকারগণ হিন্দুসমাজে হরগৌরীকে অভেদাঙ্গ করিতে চাহিয়াছিলেন— BBB BB BBB L BBBS BB DDD C BBBBBS B BBBBB C BBBBS ষে স্ত্রী ও পুরুষ ভাবের নিয়ত সামঞ্জন্তের উপর প্রতিষ্ঠালাভ করিয়া সত্য ও সুন্দর হইয়া উঠিয়াছে, সমাজকে তাহাৱা প্রথম হইতে শেষ পর্যন্ত সকল দিকে সেই বৃহৎ সামগ্রস্তের উপরে স্থাপিত করিতে চেষ্টা ক্ষরিয়াছিলেন। শিব ও শক্তির, নিবৃত্তি ও প্রবৃত্তির সন্মিলনই সমাজের একমাত্র মঙ্গল, এবং শিৰ ও শক্তির বিরোধই সমাজের সমস্ত জমদলের কারণ, ইহাই তাছার বুৰিয়াছিলেন।