পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8৯২ রবীন্দ্র-রচনাবলী নিজে এইটুকু আনন্দকেও জাগিয়ে তুলতে হয়, সেই চিরপ্রকাশিত জ্ঞানকেও জানবার জন্তে আমার জ্ঞানটুকুর ক্ষুত্র পলতোটকে উসকে দিতে হয়—আর র্যার প্রেম আপনি প্রবাহিত হয়ে ছাপিয়ে পড়ছে র্তার সেই অফুরান প্রেমকেও আমরা উপলব্ধি করতে পারি নে যদি ছোটো জুইফুলটির মতো আমাদের এই এতটুকু প্রেমকে না ফুটিয়ে তুলতে পারি। এইজন্তেই বিশ্বেশ্বরের জগদ্ব্যাপী মহোৎসবেও আমরা ঠিকমতে যোগ দিতে পারি ন। যদি আমরা নিজের ক্ষুদ্র আয়োজনটুকু নিয়ে উংসব না করি। আমাদের অহংকার আজ তাই আকাশপরিপূর্ণ জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর চোখের সামনে নিজের এই দরিদ্র আলো কয়টা নির্লজভাবে জালিয়েছে। আমাদের অভিমান এই যে, আমরা নিজের আলো দিয়েই তাকে দেখব। আমাদের এই অভিমানে মহাদেব খুশি–-তিনি হাসছেন । আমাদের এই প্রদীপ কটা জালা দেখে সেই কোটি স্বর্ষের অধিপতি আনন্দিত হয়েছেন। এই তো তার প্রসন্ন মুখ দেখবার শুভ অবসর । এই সুযোগটিতে আমাদের সমস্ত চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে হবে। এই চেতনা আমাদের সমস্ত শরীরে জেগে উঠে রোমে রোমে পুলকিত হ’ক—এই চেতনা দিবালোকের তরঙ্গে তরঙ্গে স্পদিত হ’ক, নিশীথরাত্রির অন্ধকারের মধ্যে পরিব্যাপ্ত হ’ক—আজ সে যেন ঘরের কোণে ঘরের চিন্তায় বিক্ষিপ্ত না হয়, নিখিলের পক্ষে যেন মিথ্যা হয়ে না থাকে-আজ সে কোনোখানে সংকুচিত হয়ে বঞ্চিত না হয় । অনন্ত সভার সমস্ত আয়োজন, সমস্ত দর্শন স্পশন মিলন কেবল এই চৈতন্তের উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে- এইজন্তে আলো জলছে, বাঁশি বাজছে— দূতগুলি চতুর্দিক থেকেই দ্বারে এসে দাড়িয়েছে—সমস্তই প্রস্তুত—ওরে চেতনা তুই কোথায় ওরে উত্তিষ্ঠত জাগ্রত। ৭ পৌষ দীক্ষা একদিন ধার চেতনা বিলাসের আরামশষ্য থেকে হঠাৎ জেগে উঠেছিল— এই এই পৌৰ নিট সেই দেবেন্দ্রনাথের দিন । এই দিনটিকে তিনি আমাদের জন্তে দান করে গিয়েছেন। রত্ন যেমন করে দান করতে হয় তেমনি করে দান করেছেন। ওই দিনটিকে এই আশ্রমের কোঁটোটির মধ্যে স্থাপন করে দিয়ে গেছেন। আজ কোঁটে উদঘাটন করে রত্নটিকে এই প্রান্তরের আকাশের মধ্যে তুলে ধরে দেখৰ— এখানকার লিবিহীন নির্মল নিস্তৃত আকাশতলে ষে নক্ষত্রমওলী দীপ্তি পাচ্ছে সেই