পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8.పాట్ర রবীন্দ্র-রচনাৱলী আমরা বিশ্ব থেকে আলাদা হয়ে গেছি –ওই জিনিসটার দ্বারাতেই আমাদের পংক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। এইজপ্তেই গ্ৰহস্থৰতারার সঙ্গে আমরা আর মিল রক্ষা করে চলতে পারি নে—আমরা যেখানে আছি সেখানে যে আমরা আছি এ-কথাটা আর কারও ভোলবার * জে থাকে না । % ভগবান আমাদের সেই সামঞ্জস্তটি নষ্ট করে প্রকৃতির কাছ থেকে আমাদের একঘরে করে দেওয়াতে সকালবেলা থেকে রাত্রি পর্যন্ত আমাদের নিজের কাজের ধন্দায় নিজে ঘুরে বেড়াতে হয় । । ওই সামঞ্জস্তটি ভেঙে গেছে বলেই আমাদের প্রকৃতির মধ্যে বিরাট বিশ্বের শাস্তি নেই—আমাদের ভিতরকার নানা মহল থেকে রব উঠেছে, চাই, চাই, চাই । শরীর বলছে চাই, মন বলছে চাই, হৃদয় বলছে চাই—এক মুহূর্তও এই রবের বিশ্রাম নেই। যদি সমস্তর সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন মিল থাকত তাহলে আমাদের মধ্যে এই হাজার মুরে চাওয়ার বালাই থাকত না । আজ অন্ধকার প্রত্যুষে বসে আমার চারিদিকে সেই বিচিত্র চাওঁয়ার কোলাহল শুনছিলুম—কত দরকারের হাক । ওরে গোরুট কোথায় গেল, অমুক কই, আগুন চাই রে, তামাক কোথায়, গাড়িটা ডাক রে, হাড়িটা পড়ে রইল ষে । এক জাতের পাখি সকালে যখন গান গায় তখন তারা একমুরে একরকমেরই গান গায়—কিন্তু মানুষের এই ষে কলধ্বনি তাতে এক জনের সঙ্গে আর-এক জনের না আছে বাণীর মিল, না আছে মুরের । কেননা ভগবান ওই ষে অহংকারটি জুড়ে দিয়ে আমাদের জগতের সঙ্গে ভেদ জগ্নিয়ে দিয়েছেন তাতে আমাদের প্রত্যেককে স্বতন্ত্র করে দিয়েছেন। আমাদের রুচি আকাঙ্ক চেষ্টা সমস্তই এক-একটি ভিন্ন ভিন্ন কেন্দ্র আশ্রয় করে এক-একটি অপরূপ মূর্তি ধরে বলে আছে। কাজেই একের সঙ্গে আরের ঠেকাঠেকি ঠোকাঠুকি চলেইছে। কাড়াকড়িটানাটানির অন্ত নেই। তাতে কত বেজুর কত উত্তাপ যে জন্মাচ্ছে তার আর সীমা নেই। সেই বেনুৱে পীড়িত সেই তাপে গুপ্ত আমাদের স্বাতন্ত্র্যগত অসামঞ্জত কেবলই সামঞ্জস্তকে প্রার্থনা করছে, সেইজন্তেই আমরা কেবলমাত্র খেয়ে পরে জীবন ধারণ করে বঁচি নে। আমরা একটা স্বরকে একটা মিলকে চাচ্ছি। সে চাওয়াটা আমাদের খাওয়াপাৱ চাওয়ার চেয়ে বেশি বই কম নয়-সামঞ্জস্ত আমাদের নিতান্তই চাই। সেইজন্তেই কথা নেই বার্তা নেই আমৰ কাৰ্য রচনা করতে বসে গেছি—কত লিখছি कठ चैकहि कउ श्रफहि। कउ वृह कठ नमाण वैषहि कउ पर्वयख भवहि-- क्रांक्राइक्ब कछ चञ्चलंब, कठ अउिठान, कठ अषः । अहे नावबरठब श्राकांखबांब डांनिधन