পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•iछिप्टिक छान्न 8పెనీ i छां७ शक्ने মাছুষের মনটা কেবলই যেমন বলছে চাই, চাই, চাই—তেমনি তার পিছনে পিছনেই আর-একটি কথা বলছে চাই নে, চাই নে, চাই নে । এইমাত্র বলে, না হলে নয়, পরক্ষণেই বলে কোনো দরকার নেই। ভাঙা মেলার লোকেরা কাল রাত্রে বলেছিল, গোটাকতক কাঠকুট লতাপাত পেলে বেঁচে যাই, তখন এমনি হয়েছিল যে, না হলে চলে না । শীতে খোলা মাঠের মধ্যে ওই একটুখানি আশ্রয় রচনা করাই জগতের মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুতর প্রয়োজনসাধন বলে মনে হয়েছিল। কোনোমতে একটা চুলো বানিয়ে শুকনো পাতা জালিয়ে ষা হ'ক কিছু একটা বেঁধে নিয়ে আহার করবার চেষ্টাও অত্যন্ত প্রবল হয়েছিল। এ চাওয়া ও চেষ্টার কাছে পৃথিবীর আর-সমস্ত ব্যাপারই ছোটো হয়ে গিয়েছিল। কোনো গতিকে এই কাঠকুটো পাতালত সংগ্রহ হয়েছিল। কিন্তু আজ রাত্রি না যেতেই শুনতে পাচ্ছি—“ওরে গাড়ি কোথায় রে, গোরু জোত রে।” যেতে হবে, এবার গ্রামে যেতে হবে । এই চলে যাওয়ার প্রয়োজনটাই এখন সকলের বড়ো । কাল রাত্ৰিবেলাকার একান্ত প্রয়োজনগুলো আজ আবর্জন হয়ে পড়ে রইল,— কাল যাকে বলেছিল বড়ো দরকার, আজ তাকে পরিত্যাগ করে যাবার জন্তে ব্যতিব্যস্ত । বিশ্বমানবও এমনি করেই এক যুগ থেকে আর-এক যুগে যাবার আয়োজন করছে। যখন নূতন প্রভাত উঠছে, যখন রাত ভোর হবে হবে করছে—তখন এ ওকে ঠেলাঠেলি করে ভাকছে-ওরে চল রে—ওরে গোঙ্ক কোথায় রে, ওরে গাড়ি কোথায়। তখন ওই রাত্রির অত্যন্ত প্রয়োজনের সামগ্ৰীগুলো এই দিনের আলোতে অত্যন্ত আবর্জন হয়ে লজ্জিত হয়ে পড়ে রইল। শুকনে পাতা থেকে এখনও ধোয় উঠছে, তার ছাইগুলো জমে উঠছে। ভাঙা হাড়িসরা-শালপাতায় মাঠ বিকীর্ণ। আশ্রয়পৃহগুলি আশ্রিতদের দ্বারা পরিত্যক্ত হয়ে অত্যন্ত ঐশ্রষ্ট ও লজ্জিত হয়ে আছে। সমস্তই রইল— পূর্বকাশ রাঙা হয়ে উঠেছে—এবারে যাত্রা করে বেরোতে হবে। আবার, আবার আরএক যুগের প্রয়োজন সংগ্রহ করতে হবে। তখন মনে হবে এইবারকার এই প্রয়োজনগুলিই চরম—জার কোনো দিন ভোরের বেলায় গাড়িতে গোরু জুততে হবে না। এই বলে আবার কাঠফুটে ভালপালা সংগ্রহে প্রবৃত্ত হওয়া যায়। কিন্তু তখনও এই অত্যন্ত একাত্ত প্রয়োজনের দূর সম্মুখ গিভ থেকে করুশ ভৈৱৰীক্ষরে বাণী আসছে, প্রয়োজন cनरें, यcब्रांचन cनरे । o | =چ