পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন لا ۰ه এইরূপে ঐশ্বৰ জিনিসটি কী, অকৃপণ প্রাচুর্ব কাকে বলে সেটা নিজের মধ্যে অনুভব করলে ঈশ্বর ষে কেবলমাত্র আমার অনুগ্রহকর্তী নন তিনি ষে আমার আত্মীয় সেট আমি বুঝি এবং প্রমাণ করি। أي ار t J. কিন্তু এইটে বুঝতে এবং প্রচার করতে গিয়ে অনেক সময় শেষে দুঃখ পেতে হয়। পরদিনের ছড়ানো উচ্ছিষ্ট, গলা বাতি এবং শুকনে মালার দিকে তাকিয়ে মন উদাস হয়ে যায়—তখন আর চিত্তের রাজকীয় ঔদার্থ থাকে না-হিসাবের কথাটা মনে পড়ে भम क्लिडे एरब्र ७ळ । 醇 কিন্তু দুঃখ পেতে হয় না তাকে যে প্রতিদিনই কিছু কিছু সম্বল জমিয়ে তোলে-- প্রতিদিনই যে লোক উৎসবের আয়োজন করে চলেছে—যার উৎসবদিনের সঙ্গে প্রতিদিনের সম্পূর্ণ পার্থক্য নেই, পরস্পর নাড়ির যোগ আছে। এটি না হলেই আমাদের ঋণ করে উংসব করতে হয়। আনন্দ করি বটে কিন্তু সে আনন্দের অধিকাংশই ঠিক নিজের কড়ি দিয়ে করি নে—তার পনেরো আনাই ধারে চালাই। লোক-সমাগম থেকে ধার করি, ফুলের মালা থেকে, আলো থেকে, সভাসজ্জা থেকে ধার করি—গান থেকে বাজনা থেকে বকৃত থেকে ধার নিই। সেদিনকার উত্তেজনায় চেতনাই থাকে না যে ধারে চালাচ্ছি—পরদিনে যখন ফুল শুকোয়, আলো নেবে, লোক চলে যার তখন দেনার প্রকাও শূন্ততাটা চোখে পড়ে হৃদয়কে ব্যাকুল করে । আমাদের এই দৈন্তবশতই উৎসবদেবতাকে আমরা উৎসবের সঙ্গে সঙ্গেই বিসর্জন দিয়ে বলি—উৎসবের অধিপতিকে প্রতিদিনের সিংহাসনে বসাবার কোনো আয়োজন করি নে। আমাদের সৌভাগ্য এই ষে আমরা কয়জন প্রতিদিন প্রত্যুষে এই মন্দির-প্রাক্ষণে একত্রে মিলে কিছু কিছু জমাচ্ছিলুম—আমরা এই উৎসবের মেলায় একেবারেই রবাহত বিদেশীর মতো জুটি নি,-আমাদের প্রতিদিনের সকালবেলায় সব-কটিই হাতে হাতেই বাজে খরচ হয়ে যায় নি। আমার উৎসবকর্তাকে বোধ করি বলতে পেরেছি ষে তোমার সঙ্গে আমার কিছু পরিচয় আছে, তোমার নিমন্ত্রণ আমি পেয়েছি। তার পরে আমাদের উৎসবকে হঠাৎ এক দিনেই সাজ করে দেব না—এই উৎসবকে আমাদের দৈনিক উৎসবের মধ্যে প্রবাহিত করে দেব। প্রতিদিন প্রাতঃকালেই আমাদের দশজনের এই উৎসব চলতে থাকবে। আমাদের প্রতিদিনের সমস্ত তুচ্ছতা এবং আত্মবিশ্বতির মধ্যে অন্তত একবার করে দিনাৱতে জগতের নিত্য উৎসবের ঐশ্বৰ্ধকে উপলব্ধি করে যাব । যখন প্রত্যহই উৰা তার আলোকটি হাতে করে