পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন ૯૨૧ ছিন্ন করে দাও –এক জায়গায় অন্ত সকলের সঙ্গে আমার নিয়মের বিশেষ পার্থক্য করে দাও তাহলে বস্তুত বলা হয় ষে এই কাদাটুকু পার হতে আমার কাপড়ে দাগ লাগছে অতএব এই ব্ৰহ্মাণ্ডের মণিহারের ঐক্যস্থত্রটিকে ছিড়ে সমস্ত স্থৰতারাকে রাস্তায় ছড়িয়ে ফেলে দাও । 酮 এই বিধান জিনিসটা কারও একলার নয় এবং কোনো একখণ্ড সময়ের নয়— এই বিশ্ববিধানের যোগেই সমষ্টির সঙ্গে আমরা প্রত্যেকে যুক্ত হয়ে আছি এবং কোনো কালে সে যোগের বিচ্ছেদ নেই। উপনিষৎ বলেছেন, যিনি বিশ্বের প্রভু, তিনি “যাখাতথ্যতোহখান ব্যদধাং শাশ্বতীভ্য সমাভ্যঃ” তিনি নিত্যকাল হতে এবং নিত্যকালের জন্য সমস্তই যথার্থরূপে বিধান করছেন । এই বিধানের মূলে শাশ্বতকাল -এ বিধান অনাদি অনন্তকালের বিধান তারপরে আবার এই বিধান যাথাতথ্যতঃ বিহিত হচ্ছে—এর আষ্ঠ্যেপান্তই যথাতথা—কোথাও ছেদ নেই, অসংগতি নেই। আধুনিক বিজ্ঞানশাস্ত্র বিশ্ববিধান সম্বন্ধে এর চেয়ে জোর করে এবং পরিষ্কার করে কিছু বলে নি । কিন্তু শুধু তাই যদি হয়, যদি কেবল অমোঘ নিয়মের লৌহ-সিংহাসনে তিনি কেবল বিধাতারূপেই বসে থাকেন তাহলে তো সেই বিধাতার সামনে আমরা কাঠ-পাথর ধূলি-বালিরই সমান হই । তাহলে তো আমরা শিকলে বাধা বন্দী। কিন্তু তিনি শুধু তো বিধাতা নন, “স এব বন্ধুঃ”—তিনিই যে বন্ধু । বিধাতার প্রকাশ তো বিশ্বচরাচরে দেখছি, বন্ধুর প্রকাশ কোনখানে ? বন্ধুর প্রকাশ তো নিয়মের ক্ষেত্র নয়--সে প্রকাশ আমার অন্তরের মধ্যে প্রেমের ক্ষেত্রে ছাড়া আর কোথায় হবে ? বিধাতার কৰ্ম্মক্ষেত্র এই বিশ্বপ্রকৃতির মধ্যে —আর বন্ধুর আনন্দনিকেতন আমার জীবাত্মায় । মানুষ একদিকে প্রকৃতি আর একদিকে আত্মা—একদিকে রাজার খাজনা জোগায় আর একদিকে বন্ধুর ভালি সাজায়। একদিকে সত্যের সাহাষ্যে তাকে মঙ্গল পেতে হয়, আর একদিকে মঙ্গলের ভিতর দিয়ে তাকে সুন্দর হয়ে উঠতে হয়। • ঈশ্বরের ইচ্ছা যেদিকে নিয়মরূপে প্রকাশ পায় সেইদিকে প্রকৃতি—আর ঈশ্বরের ইচ্ছা যেদিকে আনন্দরূপে প্রকাশ পায় সেইদিকে আত্মা । এই প্রকৃতির ধর্ম বন্ধন— আর আত্মার ধর্ম মুক্তি। এই সত্য এবং আনন্দ, বন্ধন এবং মুক্তি র্তার বাম এবং দক্ষিণ बाह। ७३ झहे बाइ क्रिब्रहे डिनि भांश्वरक क्रब cबcषप्इन । ষেদিকে আমি ইট কাঠ গাছ পাথরের সমান সেই সাধারণ দিকে ঈশ্বরের সর্বব্যাপী নিয়ম কোনো মতেই আমাকে সাধারণ থেকে লেশমাত্র তফাত হতে দেয় না-আর