$1లty রবীন্দ্র-রচনাবলী
না বলে তৰু কথা দিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু রাখলেন না কেন কথা। আমার মন যে হল মরুভূমির মতো ; ধুধু করে সমস্ত দিন, হু হু করে তপ্ত হাওয়া, সে যে পারছে না জল দিতে। কেউ এসে চাইলে না।
গান
চক্ষে আমার তৃষ্ণ, ওগো
তৃষ্ণ আমার বক্ষ জুড়ে । আমি বৃষ্টিবিহীন বৈশাখী দিন,
সন্তাপে প্রাণ যায় যে পুড়ে । ঝড় উঠেছে তপ্ত হাওয়ায়, মনকে স্বল্লুর শূন্তে ধাওয়ায়,
অবগুণ্ঠন যায় যে উড়ে ।
ষে-ফুল কানন করত আলো
কালো হয়ে সে শুকাল ।
ঝরনারে কে দিল বাধ—
তাপের প্রতাপে বাধা
দুঃখের শিখরচূড়ে ।
মা ! তোর আজকেকার কথা কিছু বুঝতে পারছি নে, তোকে কী নেশা লেগেছে কী জানি। কী চাস, আমাকে সাদা ক’রে বল ।
প্রকৃতি। আমি চাই তাকে । তিনি আচমক এসে আমাকে জানিয়ে গেলেন, আমার সেবাও চলবে বিধাতার সংসারে, এতবড়ো আশ্চর্য কথা ! সেবিকা আমি, এই কথাটি নিন তুলে ধুলোর থেকে তার বুকের কাছে, এই ধুতরো ফুলটাকে ।
মা । মনে রাথিস, প্রকৃতি, ওদের কথা কানেই শোনবার, কাজে খাটাবার নয় । অদৃষ্টদোষে যে-কুলে জন্মেছিস তার কাদার বেড়া ভাঙতে পারে এমন লোহার খোনতাও নেই কোনোথানে। অশুচি তুই, তোর অশুচি হাওয়া ছড়িয়ে বেড়াস নে বাইরে,
যেখানে আছিস সেইখানটুকুতেই থাক সাবধানে। এই জায়গাটুকুর বাইরে সর্বত্রই তোর অপরাধ ।
প্রকৃতি । গান
ফুল বলে, ধন্ত আমি মাটির পরে,
দেবতা ওগো, তোমার সেবা অামার ঘরে ।
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৮
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
