পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের কবিতা •©ጫ » তব অন্তর্ধানপটে হেরি তব রূপ চিরন্তন, অস্তরে অলক্ষ্যলোকে তোমার অস্তিম আগমন । লভিয়াছি চিরম্পর্শমণি ; আমার শূন্তত তুমি পূর্ণ করি গিয়েছ আপনি । জীবন আঁধার হল, সেইক্ষণে পাইকু সন্ধান সন্ধ্যার দেউল দীপ চিত্তের মন্দিরে তব দান । বিচ্ছেদের হোমবহ্নি হতে পূজামূর্তি ধরি প্রেম দেখা দিল দুঃখের আলোতে । মিতা তার পরেও আরও কিছুকাল গেল । সেদিন কেতকী গেছে তার বোনের মেয়ের অন্নপ্রাশনে। অমিত গেল না। আরামকেদারায় বসে সামনের চৌকিতে পা-দুটে৷ তুলে দিয়ে বিলিয়ম জেমসের পত্রাবলী পড়ছে। এমন সময় যতিশংকর লাবণ্যর লেখা এক চিঠি তার হাতে দিলে। চিঠির এক পাতে শোভনলালের সঙ্গে লাবণ্যর বিবাহের পবর । বিবাহ হবে ছ-মাস পরে, জ্যৈষ্ঠমাসে, রামগড় পর্বতের শিপরে । অপর পাতে : কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও उॉब्रि ब्रथं प्रेिउाझे छेथां७ জাগাইছে অন্তরীক্ষে হৃদয়-স্পন্দন, চক্রে পিষ্ট আঁধারের বক্ষ-ফাটা তারার ক্ৰন্দন । ওগো বন্ধু, সেই ধাবমান কাল জড়ায়ে ধরিল মোরে ফেলি' তার জাল,— তুলে নিল দ্রুতরখে দুঃসাহসী ভ্রমণের পথে তোমা হতে বহু দূরে। মনে হয় অজস্র মৃত্যুরে । পার হয়ে আসিলাম আজি নবপ্রভাতের শিখরচুড়ায়, রখের চঞ্চল বেগ হাওয়ায় উড়ায় আমার পুরানো নাম।