পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

شیوه 8 রবীন্দ্র-রচনাবলী সমস্ত আমি "পথ ও পাথেয়” নামক প্রবন্ধে আমাদের কর্তব্য এবং তাহার সাধনপ্রণালী সম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছিলাম। উক্ত প্রবন্ধটিকে সকলে ষে অমৃকুলভাবে গ্রহণ করিবেন এমন আমি আশা করি নাই । কোনটা শ্রেয় এবং তাহ লাভের শ্রেষ্ঠ উপায়টি কী তাহা লইয়া তো কোনো দেশেই আজও তর্কের অবসান হয় নাই । মামুষের ইতিহাসে এই তর্ক কত রক্তপাতে भविषङ श्हेब्रार्इ ७ब ७ककि श्हेप्ड डाश विशूख श्हेब आब्र-थकेमिक क्दिा बाब बाब অঙ্কুরিত হইয়া উঠিয়াছে। আমাদের দেশে দেশহিত সম্বন্ধে মতভেদ এতকাল কেবল মুখে মুখে এবং কাগজে কাগজে, কেবল ছাপাখানায় এবং সভাক্ষেত্রে কথার লড়াইরূপেই সঞ্চরণ করিয়াছে । তাহা কেবল ধোয়ার মতো ছড়াইয়াছে, আগুনের মতো জলে নাই । কিন্তু আজ নাকি সকলেই পরস্পরের মতামতকে দেশের হিতাহিতের সঙ্গে আসয় ভাবে জড়িত মনে করিতেছেন, তাহাকে কাব্যালংকারের ঝংকারমাত্র বলিয়। গণ্য করিতেছেন না, সেইজন্ত যাহাদের সহিত আমার মতের অনৈক্য ঘটিয়াছে তাছাদের প্রতিবাদৰাক্যে যদি কখনো পরুবতা প্রকাশ পায় তাহাকে আমি অসংগত বলিয়া ক্ষোভ করিতে পারি না । এ-সময়ে কোনে। কথা বলিয়া কেহ অল্পের উপর দিয়া নিষ্কৃতি পাইয়া যান না ইহা সময়ের একটা শুভ লক্ষণ সঙ্গেহ নাই । - তবু তর্কের উত্তেজনা যতই প্রবল হ’ক যাহাদের সঙ্গে আমাদের কোনো কোনে জায়গায় মতের অনৈক্য ঘটিতেছে দেশের হিতসাধনে তাহদের জাভরিক নিষ্ঠা আছে এই শ্রদ্ধা যখন নষ্ট হইবার কোনে। কারণ দেখি না, তখন আমরা পরস্পর কী কথা বলিতেছি কী ইচ্ছা করিতেছি তাহা সুস্পষ্ট করিয়া বুঝিরা লওয়া জাবগুৰু। গোড়াতেই রাগ করিয়া ৰসিলে অথবা বিস্কন্ধপক্ষের বুদ্ধির প্রতি সন্দেহ কৰিলে নিজের বুদ্ধিকে হয় তো প্রতারিত করা হইবে । বুদ্ধির তারতম্যেই যে মতের জনৈক্য ঘটে এ-কথা সকল সময়ে খাটে না । অধিকাংশ স্থলে প্রকৃতিভেদেই মতভেদ ঘটে। অতএৰ মতের ভিন্নতার প্রতি সন্মান রক্ষা করিলে যে নিজের বুদ্ধিবৃত্তির প্রতি অসন্মান করা হয় ठांश कमांकझे जङा नाझ् । এইটুকুমাত্র ভূমিকা করিয়া “পথ ও পাথেয়" প্রবন্ধে যে জালোচনা উত্থাপিত করিয়াছিলাম তাঙ্গারই অনুবৃত্তি করিতে প্রবৃত্ত হইলাম । সংসারে বাস্তবের সঙ্গে আমাদিগকে কখনো আপস করিয়া কখনো বা লড়াই