পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষরক্ষা So no G? ইন্দু। চলতেও পারে, কিন্তু উপবাসের মুখে, অর্থাৎ দ্বাদশী তিথিতে । কমল । পরিমল ? r ইন্দু। মালাবদলের সময় নাম-বদল করতে হবে, সে হবে ইন্দু আমি হব পরিমল । যা হােক এগুলো চলতেও পারে- কিন্তু গদাই ? নৈব নৈব চ | ক্ষান্ত । কী যে পাগলামি করছিস ইন্দু ! চল, আমার কাজ আছে। চন্দ্রবাবুর বাসা চন্দ্র ৷ ভাই বিনন্দা, তোমাকে দেখে বোধ হচ্ছে, আজ তোমার ভালোমন্দ একটা-কিছু হল বলে, কিংবা হয়েই বসেছে | বিনোদ । তাই নাকি ? চন্দ্ৰকান্ত ; আজ তোমার দৃষ্টিটাি ছুটেছে যেন কোন মায়ামৃগীর পিছু পিছু ! গেছে তার পথ হারিয়ে ! ওহে, আজকের হওয়ায় তোমার গায়ে কারও dছায়াচ লাগছে নাকি ? বিনোদ । কিসে ঠাওরালে ? চন্দ্ৰকান্ত । মুখের ভাবে । বিনোদ । ভাবটা কিরকম দেখছি ? চন্দ্ৰকান্ত । যেন ইন্দ্ৰধনু উঠেছে আকাশে, আর তারই ছায়াটা শিউরে উঠছে নদীর ঢেউয়ে । বিনোদ । বলে যাও । চন্দ্ৰকান্ত । যেন আষাঢ়-সন্ধ্যাবেলায় জুইগাছের গাঠে গাঠে কুঁড়ি ধরল বলে, আর দেরি নেই। বিনোদ । আরো কিছু আছে ? SKN | Kar নব জলধরে বিজুরী-রোহা দ্বন্ধ পসারি গেলি । বিনোদ । থামলে কেন, বলে বাও । চন্দ্ৰকান্ত ৷ যেন বঁাশিটি আজ ঠেকেছে৷ এসে গুণীর অধীরে । সত্যি করে বল ভাই, লুকোস। এনে আমার কাছে । বিনোদ । তা হতে পারে । একটা কোন ইশারা আজ গোধূলিতে উড়ে বেড়াচ্ছে, তাকে কিছুতে ধরতে পারছি নে ৷ চন্দ্ৰকান্ত । ইশ্বারা উড়ে বেড়াচ্ছে ? সেটা প্ৰজাপতির ডানায় নাকি ? বিনোদ । যেন অন্ধ মৌমাছির কাছে রজনীগন্ধীর গন্ধের ইশারা । চন্দ্ৰকান্ত । হায় হয়, হাওয়াটা কোন দিক থেকে বইছে, তার ঠিকানাই পেলে না ? বিনোদ । পোস্ট-আপিসের ঠিকানটা পাওয়া শক্ত নয়। চন্দারদা ! কিন্তু স্বৰ্গরেণু কোথায় আছে লুকিয়ে সেই ঠিকানাটাই চন্দ্ৰকান্ত । সর্বনাশ করলে ! এরই মধ্যে স্বর্ণের কথাটা মনে এসেছে ? সাদা ভাষায় ওর মানে হচ্ছে পালের টাকা- তোমার রজনীগন্ধীর গন্ধটা তা হলে ব্যাকশাল টু দ্বীটের দিক থেকেই এল বুকি ? মুক"। ছিৰি চন্দ্র, এমন কথাটাও তোমার মুখ দিয়ে বেরোলি ! আমি তুচ্ছ টাকার কথাই কি চন্দ্ৰকান্ত । আজিকালিকার দিনে কোনটা তুচ্ছ, কন্যােটগ না পালট, তার হিসেব করা শক্ত নয় । ফুককরা তো সোনার মৃগ দেখেই ছোটে, সীতা পড়ে থাকেন পশ্চাতে ।