পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের যাত্রা কবি নিতান্ত ঠাট্ট নয় পুরুতষ্ঠাকুর ! রথযাত্রায় কবির ডাক পড়েছে বারে বারে, কাজের লোকের ভিড় ঠেলে পারে নি সে পৌছতে । পুরোহিত রথ তারা চালাবে কিসের জোরে। বুঝিয়ে বলে । কবি গায়ের জোরে নয়, ছন্দের জোরে । আমরা মানি ছন্দ, জানি একঝোকা হলেই তাল কাটে । মরে মানুষ সেই অমৃন্দরের হাতে চাল-চলন যার এক পাশে বাকী ; কুম্ভকর্ণের মতো গড়ন যার বেমানান, যার ভোজন কুৎসিত, যার ওজন অপরিমিত । আমরা মানি সুন্দরকে। তোমরা মানো কঠোরকে— অস্ত্রের কঠোরকে, শাস্ত্রের কঠোরকে । বাইরে ঠেলা-মারার উপর বিশ্বাস, অন্তরের তালমানের উপর নয়। সৈনিক তুমি তো লম্বা উপদেশ দিয়ে চললে, ও দিকে যে লাগল আগুন । কবি যুগাবসানে লাগেই তো আগুন । शा छ्झे श्वांद्र ऊांश् छ्दे श्ब्र, যা টিকে যায় তাই নিয়ে স্থষ্টি হয় নবযুগের। সৈনিক তুমি কী করবে কবি ! কবি আমি তাল রেখে রেখে গান গাব। $8wo